বৃহস্পতিবার ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টেলিকম লাইসেন্সিং নীতিমালার গেজেট প্রকাশ

প্রকাশিত : ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার ২৬ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

‘টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক অ্যান্ড লাইসেন্সিং পলিসির’ গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এ খাতের অংশীজনদের নানা দাবি-আপত্তির মধ্যে সোমবার এ গেজেট প্রকাশ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, সরকার “Telecommunications Network and Licensing Policy, 2025” অনুমোদন করেছে। অনুমোদিত পলিসিটি প্রকাশ করা হলো।

একই সাথে “International Long Distance Telecommunication Service (ILDTS) Policy, 2010” রহিত করা হলো।

নতুন নীতিমালা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর এ নীতিমালায় অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।

সেদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, নতুন এই নীতিমালার মাধ্যমে ‘একক নিয়ন্ত্রণ ও মধ্যসত্ত্বভোগীদের দৌরাত্ম’ কমানো সম্ভব হবে। এই নীতিমালার মাধ্যমে লাইসেন্সিংয়ের ক্ষেত্রে স্তরায়ন কমিয়ে আমরা মধ্যস্বত্ত্বভোগী কমিয়ে দেব এবং প্রতিযোগিতামূলক সেবা নিশ্চিত করব। এতে সরকারের রাজস্ব না কমিয়েও গ্রাহকদেরকে সুলভ মূল্যে সেবা দেয়া সম্ভব হবে।

লাইসেন্স কমানোর ব্যাখ্যায় তিনি বলেছিলেন, বিটিআরসি ২৬ ধরনের লাইসেন্স দিয়ে থাকে। ২৯৯৯টি প্রতিষ্ঠান এসব লাইসেন্স সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। অর্থাৎ, এর মাধ্যমে সেবা জনগণের কাছে পৌঁছাতে অতিমাত্রায় স্তরায়ন (মধ্যসত্ত্ব) সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এই খাতে অতিমাত্রায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে।

“এই ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং পদ্ধতির স্তরায়ন বা মধ্যসত্ত্বভোগীদের স্তরগুলো বাদ দিয়ে মাত্র তিনটি স্তরে নিয়ে আসা হয়েছে। এর পাশাপাশি স্যাটেলাইট নির্ভর টেলিযোগাযোগ সেবার জন্য আরেকটি লাইসেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে তিন যোগ এক- চারটি লাইসেন্সের মাধ্যমে দেওয়া যাবে এই খাতের সেবা।”

নতুন নীতিমালা প্রসঙ্গে বিশেষ সহাকারী বলেন, “বর্তমান লাইসেন্সিং পদ্ধতিতে মধ্যসত্ত্বভোগী ব্যবস্থা রহিত করে আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। এই নীতিমালার মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতে যারা ব্যবসা করেন তাদেরকে সেবার মানের নিশ্চিয়তা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। তৃতীয়ত এর মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসা সম্প্রসারণ করে ভয়েস কল ও ডেটা সার্ভিসের মূল্যকে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা হয়েছে।”

তবে এই নতুন নীতিমালা নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করে মোবাইল অপারেটর রবি ও বাংলালিংক।

এক বিবৃতিতে রবি বলেছে, “টেলিকম নেটওয়ার্ক এবং লাইসেন্সিং নীতি আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, কারণ (সরকারের সঙ্গে) আলোচনার সময় দেওয়া কোনো প্রস্তাবকেই প্রতিফলিত করে না। এই ত্রুটি গভীর হতাশাজনক, বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য যাদের এই বাজারে দীর্ঘমেয়াদে থাকার প্রতিশ্রুতি রয়েছে।”

পৃথক বিবৃতিতে বাংলালিংক সরকারের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও তারাও বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরে।

অপারেটরটি বলেছে, “আমরা সংশোধিত টেলিকম নীতিতে প্রতিফলিত ইতিবাচক পদক্ষেপগুলিকে স্বীকৃতি দিই, যেমন- সক্রিয় নেটওয়ার্ক এবং স্পেকট্রাম ভাগাভাগির বিধানটি। বাধ্যতামূলক মালিকানার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত আমাদের কিছু উদ্বেগ রয়েছে যা বিদেশি বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করে। তবুও আমরা ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT