অবশেষে কৃষ্ণসাগরের বন্দর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি করতে বহুল আলোচিত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন। ইউক্রেনের শস্য অবরোধের সুদূরপ্রসারী পরিণতি দেখেছে বিশ্ববাসী। এই অররোধ বিশ্বজুড়ে জীবনযাত্রার ব্যয়কে প্রভাবিত করেছে।
এই চুক্তিকে দেখা হচ্ছে জীবনযাত্রার ব্যয়ের পাগলা ঘোড়া ঠেকানোর উপায় হিসেবে। আলোচিত এই চুক্তি বিশ্ববাসী জীবনযাত্রার খরচের লাগাম টানবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০ মিলিয়ন টন ইউক্রেনীয় শস্যের অবরোধ মুক্ত করার সম্ভাবনা ইতোমধ্যেই শুক্রবার বিশ্ববাজারে গমের দাম ২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
পাঁচমাস ধরে চলা যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের শস্য অবরুদ্ধ করার ফলে রুটি এবং পাস্তার মতো গমভিত্তিক পণ্যগুলো আরও ব্যয়বহুল হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের অনেক মানুষ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে খাদ্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রান্নার তেল এবং সারের দামও বেড়েছে। নতুন চুক্তি এই পণ্যগুলো আরও সহজে রপ্তানি করার অনুমতি দিতে পারে।
এ চুক্তির মাধ্যমে আটকে থাকা ইউক্রেনের বন্দরগুলো আবার খুলে যাবে। শুধু গমই নয়, ইউক্রেনের উৎপাদিত গম এবং সূর্যমুখী তেল, বার্লি এবং ভূট্টা রপ্তানির দ্বারও খুলে গেল এই চুক্তির ফলে।
চুক্তি অনুযায়ী ইউক্রেনের তিনটি বন্দর ব্যবহার করে শস্য রপ্তানি করবে ইউক্রেন। এর মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ওডেসা বন্দরও।
ইউক্রেনে হামলা করার পর দেশটির গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলোর বেশিরভাগই দখল করে রাশিয়া। এরপর সেগুলো বন্ধ করে দেয় তারা। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ইউক্রেনের শস্য রপ্তানিও। এতে করে বিশ্বে খাদ্য সংকটের শঙ্কা দেখা দেয়। কারণ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক দেশ হলো ইউক্রেন।
প্রকাশক মোঃ সোহেল রানা ও সম্পাদক: মোঃ মোজাম্মেল হক। ২৭, কমরেড রওসন আলী রোড, বজলুর মোড়, কুষ্টিয়া-৭০০০।
© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | Design and Developed by- DONET IT