বৃহস্পতিবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩রা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জিম্মি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে দুম্বার মাংস আনছে জলদস্যুরা

প্রকাশিত : ০৫:০৮ পূর্বাহ্ণ, ৩০ মার্চ ২০২৪ শনিবার ১০৩ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

সোমালি উপকূলে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহতে ফুরিয়ে আসছে খাবার ও পানি। নাবিকদের পানি দেওয়া হচ্ছে রেশনিং করে। খাবারের ক্ষেত্রে সংকট দেখা দিতে পারে-এমন আশঙ্কায় নাবিকরা নিজেরাই কৃচ্ছ সাধন করছেন। তবে জিম্মি এক নাবিকের স্বজন জানিয়েছেন, দুই-তিন দিন আগে থেকে দস্যুরা দুম্বা ও খাসির মাংস নিয়ে আসছে জাহাজে। সেখান থেকে নিজেরাও খাচ্ছে, জিম্মিদেরও খেতে দিচ্ছে। জাহাজের মালিকপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, দুম্বা বা খাসির মাংস দেওয়ার তথ্য তাদের কাছে নেই।

গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাণিজ্যিক জাহাজটি। পরবর্তীতে তারা এটি নিয়ে যায় সোমালিয়া উপকূলে। বর্তমানে দেশটির জিফল উপকূলে রয়েছে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজে ২৩ বাংলাদেশি নাবিক জিম্মি। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবীর গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন।

জিম্মি হওয়ার কয়েক দিন পর জাহাজের চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান এক অডিওবার্তায় জানিয়েছিলেন, জাহাজে ২০-২৫ দিনের খাবার আছে। বিশুদ্ধ পানি ছিল ২০০ টন। এরপর পেরিয়ে গেছে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময়। নাবিকদের জিম্মিদশা এখনো কাটেনি। গত ১৮ দিনে নাবিকরা জাহাজের খাবার খেয়েছেন। প্রথম দিকে জলদস্যুরা নাবিকদের খাবার খেলেও একপর্যায়ে নিজেরা আলাদাভাবে এনে খেতে থাকে।

জাহাজের খাবার কমে এলেও তা নিয়ে তেমন চিন্তিত নন মালিকপক্ষ। শুক্রবার মালিকপক্ষ-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নাবিকরা জাহাজের খাবার খাচ্ছে। খাবার যেহেতু কম তাই নিজেরাই স্বাভাবিকের চেয়ে কম খাচ্ছে। বাইরে থেকে নাবিকদের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে কিনা, তাদের জানা নেই। জলদস্যুরা নিজেরা তাদের জন্য বাইরে থেকে খাবার নিয়ে আসছে। তারা নাবিকদের খাবার এখন আর খাচ্ছে না।

সূত্রটি আরও জানায়, জাহাজে শুকনো ও হিমায়িত দুই ধরনের খাবার থাকে। হিমায়িত খাদ্য কমে গেলেও শুকনো খাবার দিয়ে অনেক দিন চালিয়ে নেওয়া যায়। তাছাড়া জলদস্যুরা এসব ক্ষেত্রে নিজেদের স্বার্থেই জাহাজে খাবার ও পানি সরবরাহ করে। তবে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করাটা একটু জটিল প্রক্রিয়া। ২০১০ সালে সোমালি জলদস্যুরা একই প্রতিষ্ঠানের এমভি জাহানমণি নামের অপর একটি জাহাজ জিম্মি করেছিল। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ১০০ দিনের মাথায় সেই জাহাজের নাবিকদের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দিয়েছিল দস্যুরা। তখন এক পর্যায়ে খাবারের সংকট দেখা দিলে দস্যুরা নাবিকদের জন্য দুম্বার মাংস সরবরাহ করেছিল।

এদিকে নাবিকদের মুক্ত করতে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জলদস্যুদের সঙ্গে জাহাজের মালিকপক্ষের আলাপ-আলোচনা চলছে। কিন্তু কবে নাগাদ জিম্মিদের মুক্ত করে দেশে ফেরানো যাবে তা নিয়ে নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছে না।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT