শনিবার ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে যা বললেন আসামিরা

প্রকাশিত : ০৯:২৪ পূর্বাহ্ণ, ২৮ জুলাই ২০২৫ সোমবার ৫১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

রাজধানীর গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন এবং গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের এক নেতার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আদালতে আসামিরা বলেন, ‘আমরা কোনো চাঁদা চাইনি, পুলিশকে আমরাই কল দিয়েছিলাম।’

আজ রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর আগে এক আইনজীবীর প্রশ্নের জবাবে তারা এ কথা জানান।

আসামিরা হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদাব, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ।

আজ রবিবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে হায়েস গাড়িতে করে আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। পুলিশি প্রহরায় চতুর্থ তলার তিন নম্বর কোর্টে আসামিদের উঠিয়ে কাঠগড়ায় রাখা হয়। আদালতে উঠানোর সময় উৎসুক জনতা তাদের চাঁদাবাজ, চাঁদাবাজ বলে স্লোগান দেয়।

কাঠগড়ায় থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী আসামিদের কাছে জানতে চান, তোমরা কেন চাঁদাবাজি করতে গেলে? তখন তারা বলেন, ‘আমরা কোনো চাঁদা চাইনি, পুলিশকে আমরাই কল দিয়েছিলাম। আমরা বাসার নিচে অবস্থান করছিলাম। পুলিশ ফোর্সসহ এসে আমাদের ধরে এনেছে।’

পরে বিচারক এজলাসে উঠার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন বলেন, তারা কোনো সাধারণ আসামি না।

৫ আগস্টের পর থেকে এ চক্র ধানমণ্ডি, গুলশান এলাকায় আওয়ামী লীগের বাসা খুঁজে খুঁজে চাঁদাবাজি করে। চাঁদাবাজি করে তারা ফেসবুকেও উল্লাস করে। তারা তারেক রহমানের নামেও বিষোদগার করে। তারা যে বাসায় হানা দিয়েছে, সেটা আওয়ামী লীগের নেত্রীর বাসা। তিনি পালিয়ে আছেন।

এর পরও তার বাসায় গিয়ে চাঁদার দাবি করে। শেখ হাসিনার পলায়নের পর এনসিপির নামে তারা চাঁদাবাজি করে। জুলাই আন্দোলনে যারা রক্ত দিয়েছে, আহত হয়েছে, তাদের রক্তের সঙ্গে তারা বেঈমানি করেছে।

পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে কারা কারা জড়িত, আর কোথায় কোথায় তারা চাঁদাবাজি করেছে? সেটা জানা দরকার। সে জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চাই।

আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘আমি বেশি কিছু বলব না। শুধু একটা কথাই জানাতে চাই, তারা ওখানে যাওয়ার আগে থানায় ফোন দিয়েছিল কি না? এ বিষয়টা আদালতকে দেখার অনুরোধ করছি। পরে বিচারক প্রত্যেকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT