বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০ বছরে ১১ দেশ ভ্রমণ করেছেন এই সবজি বিক্রেতা

প্রকাশিত : ০৮:২৩ পূর্বাহ্ণ, ১১ জুলাই ২০২২ সোমবার ১২৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

বিদেশ ভ্রমণ করতে হলে আগে কাড়ি কাড়ি টাকা উপার্যন করতে হবে। বড় কোম্পানির বড় কর্মকর্তা হতে হবে। নয়তো বড় মাপের ব্যবসায়ী হতে হবে।

এমন ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণিত করলেন পাড়ার গলির মোড়ের এক সাধারণ সবজির দোকানি।

আলু, পটল, মূলা বেচেই ওই সবজি বিক্রেতা ভ্রমণ করেছেন ১১টি দেশ। চষে বেড়িয়েছেন ইংল্যান্ড, ইতালির মতো ইউরোপের ধনী দেশগুলো। সুদূর আমেরিকা ও কানাডাও ভ্রমণ করেছেন।

সবজি বেচে ১১ দেশ চষে বেড়ানো সেই সবজি বিক্রেতার নাম মলি। তিনি ভারতের কেরালা রাজ্যের এর্নাকুলামের বাসিন্দা। বর্তমানে তার বয়স ৬১।

গত ২৬ বছর ধরে এর্নাকুলামে সবজি বেচেন মলি। প্রতিদিন সবজি বিক্রি করে যা উপার্জন করেন তার থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বাঁচিয়ে রাখেন। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ জমলেই নতুন কোনো গন্তব্যের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন।

সকালে তার দোকান বন্ধ দেখলেই ক্রেতারা বুঝে ফেলেন দেশে আর নেই মলি।

এভাবে গত ১০ বছরে ভারতের বিভিন্ন জায়গা তো ঘুরেছেন, ১১টি দেশও চষে ফেলেছেন এই সবজি বিক্রেতা।

সবজির দোকানটি মূলত মলির স্বামীর। ১৮ বছর আগে তার স্বামী মারা যান। এরপর থেকে মলিই দোকানে বসছেন।

ভ্রমণপিপাসু হলেন কবে থেকে প্রশ্নে মলি জানান, ১১ বছর আগে এক প্রতিবেশী বেড়াতে যাওয়ার সময় মলিকে জিজ্ঞেস করেন ‘একা মানুষ কোথাও বের হও না? যাবে?’ এক কথায় রাজি হয়ে যান মলি। সেই তার প্রথম বেড়াতে যাওয়া। এরপর নতুন নতুন জায়গায় যাওয়া তার নেশায় পরিণত হয়।

মলি বলেন, ‘দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। তার পর বাবা-মা বিয়ে দিয়ে দিয়েছিলেন। শখ বলতে তো কিছুই ছিল না। পরে ভ্রমণটা শখ ও নেশায় পরিণত হয়।’

১৫ দিনের সফরে ব্রিটেন গিয়েছিলেন মলি। লন্ডন শহরটাকে তার খুব ভালো লেগেছে। আমস্টারডাম, রোমও দারুণ। সেখানে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ভুলবেন না কখনও।

তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে কোনটি দেখতে? প্যারিসের আইফেল টাওয়ার? লন্ডন ব্রিজ, রোমের কলোসিয়াম?

একবাক্যে মলির উত্তর, ‘দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখা।সেটাই সেরা মুহূর্ত আমার কাছে।’

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT