বুধবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হৃদয়স্পর্শী স্ট্যাটাস দিয়ে দ. আফ্রিকায় বাংলাদেশির আত্মহত্যা

প্রকাশিত : ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ, ২২ জুন ২০২২ বুধবার ১৫৫ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

‘আমি একটু শান্তিতে ঘুমাতে চাই, আগরবাতির ঘ্রাণ ছড়ানো সাদা কাপড়ে পেঁচানো কাঠঘেরা কোন বক্সে’- ফেসবুকে এমন একটি হৃদয় স্পর্শ করা স্ট্যাটাস দিয়ে ভালোবাসার মানুষটাকে না পাওয়ার কথা শুনিয়ে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবাসী বাংলাদেশি হাবিবুর রহমান।

পোর্ট এলিজাবেথ শহরের অদূরে থাকতেন হাবিব (২৯)। রোববার রাতে নিজ কর্মস্থলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

নিহত মো. হাবিব নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি তিন বছর আগে উন্নত জীবনের আশায় দক্ষিণ আফ্রিকায় আসেন। তিনি বড় ভাইয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিলেন।

জানা যায়, প্রতিদিনের মতোই তার বড়ভাই তাকে খাবার দেওয়ার জন্য আজ সোমবার সকাল ৯টার সময় ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে যান। ১১টার সময় হাবিব ফোন রিসিভ না করলে বড় দোকানে এসে দেখতে পায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। পরে দোকানের দরজা ভেঙে ভিতরে ডুকে তিনি দেখতে পান হাবিবুর রহমান মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায়।

চলতি বছরের মার্চ মাসের ২১ তারিখে হাবিব লিখেছেন- শীতের চাদর জড়িয়ে কুয়াশার মাঝে দাঁড়িয়ে হাত দুটো দাও বিলিয়ে, শিশিরের শীতল স্পর্শে যদি শিহরিত হয় তোমার মন, তাহলে বুঝে নিও আমি আছি তোমার পাশে সারাক্ষণ।

এছাড়া আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার আগে হাবিব তার স্টোরিতে বিরহের দুইটি গানের অংশ বিশেষ শেয়ার করেছিলেন।

হাবিবুর রহমানের ফেসবুকের স্ট্যাটাসগুলো দেখে বুঝা যায়- পুলিশকন্যার সাথে ভালোবাসার লম্বা সময় পার করলেও প্রবাসী হাবিবুর রহমানের ভালোবাসায় আস্থা রাখতে পারছিল না পুলিশ পরিবার। তাই তিনি বেশ কিছুদিন থেকে ডিপ্রেশনে ছিলেন।

উল্লেখ্য, ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে অভিমান করে দক্ষিণ আফ্রিকায় এ পর্যন্ত তিন বাংলাদেশি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT