শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

হুথি গোষ্ঠীর যোদ্ধা আছে দুই লাখ

প্রকাশিত : ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ, ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার ৪৭ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইয়েমেনের একটি প্রধান আঞ্চলিক শক্তি হুথি (বিদ্রোহী সংগঠন)। নব্বইয়ের দশকে উদ্ভব হওয়া সশস্ত্র বিদ্রোহী এ সংগঠন আনসারুল্লাহ নামেও পরিচিত। ২০১৪ সালে দেশটির রাজধানী সানার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর, হুথিরা দেশের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে উত্তরে। নিজেদের জায়গা গড়ে তোলার পাশাপাশি তাদের সামরিক ক্ষমতাও বাড়িয়েছে দেশটিতে।
শুক্রবার এএফপির খবরে বলা হয়েছে, তারা ক্রুজ মিসাইল এবং ড্রোনসহ একটি উল্লেখযোগ্য অস্ত্রাগার তৈরি করেছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানি সরঞ্জাম বা উপাদান দিয়ে তৈরি তাদের অস্ত্রাগারের মধ্যে ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ড্রোনও রয়েছে।

যোদ্ধা
প্রতিবেদন অনুসারে, বেশ কয়েক বছর আগে থেকে অনুমান করা হয়, এই সংগঠনে প্রায় দুই লাখ যোদ্ধা রয়েছে। যারা ইয়েমেনের মরু ও পাহাড়ি ভূখণ্ডে যুদ্ধ করতে সক্ষম।

ক্ষেপণাস্ত্র
ব্রিটিশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (আইআইএসএস) গবেষণা সহকর্মী ফ্যাবিয়ান হিঞ্জের মতে, হুথিদের টাইফুন নামের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এটি এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৯০০ কিমি. (৯৯৫ থেকে এক হাজার ১৮০ মাইল) রেঞ্জের ইরানি কদর ক্ষেপণাস্ত্রের একটি নতুন সংস্করণ। ইরান ২০১৬ সালে তার কদর ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল। প্রায় এক হাজার ৪০০ কিমি. (৮৭০ মাইল) দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা নাভান্তি গ্রুপের সিনিয়র বিশ্লেষক মোহাম্মদ আলবাশা বলেছেন, ৭ অক্টোবর ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে হুথিরা তাদের টাইফুন মিসাইল অস্ত্রাগার উন্মোচন করে। হিঞ্জের মতে, বিদ্রোহীদের কাছে ইরানের কুদস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে। কুদসের বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে।

যার মধ্যে কয়েকটির প্রায় এক হজার ৬৫০ কিমি. পর্যন্ত অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছেন হিঞ্জ। তিনি আরও বলেছেন, ২০২২ সালে, হুথিরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে আঘাত করার জন্য কুদস-২ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল। এছাড়াও ২০২০ সালে সৌদি আরবে আঘাত হানার জন্যও কুদস-২ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল।

ড্রোন
হিঞ্জ বলেছেন, হুথির অস্ত্রাগারে ইরানের শাহেদ-১৩৬ ড্রোন রয়েছে। এটি রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করছে। হিঞ্জের মতে, ড্রোনগুলোর পরিসীমা প্রায় দুই হাজার কিমি.। আরও বলেছেন, সামাদ-৩ নামে আরেকটি ড্রোন মডেলের কথাও জানা গেছে। আমরা এর সঠিক পরিসীমা জানি না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি প্রায় এক হাজার ৬০০ কিমি. যেতে পারে।

হুথিরা সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে হামলায় সামাদ-৩ ড্রোন ব্যবহার করেছে। বিদ্রোহী মিডিয়া সূত্র এবং বিশ্লেকদের মতে, সামাদ-৩ তে ১৮ কিলোগ্রাম (৪০ পাউন্ড) বিস্ফোরক লাগানো যেতে পারে। সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের বিশেষজ্ঞরা ২০২০ সালের একটি প্রতিবেদনে লিখেছেন, হুথিদের ড্রোনগুলোতে জিপিএস নির্দেশিকা (স্বয়ংক্রিয় নির্দেশিকা) ব্যবহার করে। ফলে ড্রোনগুলো তাদের লক্ষ্যগুলোর দিকে প্রাক-প্রোগ্রামড ওয়েপয়েন্ট বরাবর স্বায়ত্তশাসিতভাবে উড়ে যেতে পারে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT