মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হুইলচেয়ার না পেয়ে স্কুটারে হাসপাতালের চারতলায় উঠলেন রোগীর বাবা!

প্রকাশিত : ০৯:৪০ অপরাহ্ণ, ১৭ জুন ২০২৩ শনিবার ১০৬ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

হাসপাতালে চিকিৎসাসামগ্রীর অভাব, এমন অভিযোগ নতুন নয়। বিভিন্ন হাসপাতালে হামেশাই শোনা যায় এ ধরনের অভিযোগের কথা। তেমনই একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এলো। হুইলচেয়ার না পেয়ে পুত্রকে স্কুটারে চাপিয়ে সোজা হাসপাতালের চারতলায় উঠে গেলেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ভারতের রাজস্থানের কোটার একটি হাসপাতালের।

ওই ব্যক্তির দাবি, পুত্রের পা ভেঙে যাওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাকে কোটার একটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে পৌঁছে তিনি স্ট্রেচারের খোঁজ করেন; কিন্তু হাতের সামনে কোনো স্ট্রেচার ছিল না। যন্ত্রণায় ছটফট করছিল পুত্র। তাই দ্রুত তাকে চিকিৎসকের কাছে কিভাবে নিয়ে যাওয়া যায়, তা ভেবেই দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন।

ওই ব্যক্তি আরও জানান, স্ট্রেচার না পেয়ে হুইলচেয়ারের খোঁজ করেন; কিন্তু একটিও হুইলচেয়ার পাননি। হাসপাতালে চারতলায় অস্থিচিকিৎসা বিভাগ থাকায় আরও সমস্যায় পড়েন ওই ব্যক্তি। আর কোনো উপায় না দেখে একটি স্কুটারের ব্যবস্থা করেন। আর সেই স্কুটারে পুত্রকে চাপিয়ে লিফ্টে করে চারতলায় পৌঁছান। পুত্রের পায়ে প্লাস্টার করিয়ে আবার একইভাবে হাসপাতালের নিচে নেমে আসেন।

এ ঘটনার একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই হাসপাতালগুলোর পরিকাঠামো নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে ওই ব্যক্তির কাজকে সমর্থন করেছেন। এমনকি পুলিশকে এ বিষয়ে হাসপাতালের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির পাশেই দাঁড়িয়েছে পুলিশ।

এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, যদি হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকে, তা হলে কি ভগবানের ওপর ভরসা করতে হবে? হাসপাতালে কোনো হুইলচেয়ার না পেয়ে এক অসহায় বাবা ছেলেকে স্কুটারে চাপিয়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে কোনো অপরাধ করেননি।

হাসপাতালে স্ট্রেচার এবং হুইলচেয়ারের অভাবের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের দাবি, ওই ব্যক্তিকে স্কুটার নিয়ে হাসপাতালে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। যদিও ওই ব্যক্তি পালটা দাবি করেছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই স্কুটার নিয়ে ঢুকেছিলেন তিনি।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT