বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হামাস নয়, ইসরাইল ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’: এরদোগান

প্রকাশিত : ০৫:০৬ অপরাহ্ণ, ১৬ নভেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার ৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

গাজার হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয় বরং একটি রাজনৈতিক দল, ইসরাইল প্রকৃত ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।

বুধবার পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরাইলকে অভিযুক্ত করতে আন্তর্জাতিক আদালতের প্রতি আহ্বান জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।

এরদোগানা বলেন, ফিলিস্তিনে বসতি স্থাপনকারী ইসরাইলিদের যেন সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, আঙ্কারা তা নিশ্চিত করবে।

তিনি বলেন, পশ্চিমাদের ‘অসীম’ সমর্থন নিয়ে গাজা উপত্যকায় ইসরাইল যে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, তা ‘মানব ইতিহাসে সবচেয়ে প্রতারণামূলক হামলা’।

দুই দিন পর জার্মানি সফরে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। পশ্চিমাদের সমালোচনায় মুখর তুরস্কের এ নেতার সফর নানা কারণে স্পর্শকাতর। এর মধ্যেই ইসরাইল নিয়ে এ মন্তব্য ইঙ্গিতবাহী।

এরদোগান জোর দিয়ে বলেন, হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয় বরং একটি রাজনৈতিক দল, যেটি ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল।

নিজের দল একে পার্টির সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলছি— ইসরাইল একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। দেশটির প্রশাসনের প্রতি সমালোচনা করার সময় আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, এই গণহত্যাকে কারা সমর্থন এবং বৈধতা দিচ্ছে। আমরা গণহত্যা দেখতে পাচ্ছি।’

ইসরাইলের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে কিনা, তা পরিষ্কার করতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতিও আহ্বান জানান এরদোগান। তিনি বলেন, নেতানিয়াহু কালের গহ্বরে হারিয়ে যাবেন।

এদিকে এরদোগানের ‘নৈতিকতাবিষয়ক’ কোনো লেকচার শুনবেন না বলে নেতানিয়াহু এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছেন। এরদোগান ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হামাসকে সমর্থন দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তুরস্ক থেকে কূটনীতিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার পর এখন আঙ্কারার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবার ঘোষণা দিয়ে ইসরাইল। সেই দেশের পক্ষে অবস্থান নেওয়া জার্মানিতে সফরে যাচ্ছেন তিনি। আবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজও গাজায় যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে একাধিকবার নিজ অবস্থান জানিয়েছেন।

গত রোববারও যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তিনি বলেছেন, ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি বা দীর্ঘ সময়ের জন্য সংঘাত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তকে আমি ঠিক বলে মনে করি না। এতে করে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সক্ষমতা অর্জন করবে হামাস।’

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT