সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৩ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

হাওরে ধানকাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

প্রকাশিত : ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ, ২১ এপ্রিল ২০২০ মঙ্গলবার ৮২০ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

একদিকে শ্রমিক সংকট, অন্যদিকে আগাম বন্যার পূর্বাভাস। ফলে সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় পুরো জমির ধানকাটা নিয়ে বড় ধরনের দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। প্রতিবছর এ মৌসুমে বিভিন্ন জেলার শ্রমিক ধান কাটতে আসলেও এবার করোনার কারণে তাতে ব্যাঘাত ঘটছে।

এ অবস্থায় জেলা প্রশাসক জানান, বিশেষ উদ্যোগে বাইরের জেলা থেকে শ্রমিক নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগ বলছে, হাওরের ফসল কাটতে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগবে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড পূর্বাভাস দিয়েছে, চলতি মাসের শেষের দিকে সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসতে পারে পানির পাহাড়ি ঢল।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও অকাল বন্যার শঙ্কার মধ্যেই সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার বোরো মৌসুমের ধানকাটা ও মাড়াই চলছে। হাওরে আবাদকৃত ১০ ভাগ জমির ধান পেকেছে।

প্রতিদিন একটি কম্পাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিনে ৩ হেক্টর, একটি রিপার মেশিনে ২ হেক্টর এবং ২৫ জন শ্রমিকের মাধ্যমে এক হেক্টর জমির ধান কাটা সম্ভব। জেলায় ধান কাটার জন্য ১শ’ ২৬টি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার ও ২শ’ ১২টি রিপার মেশিন সরবরাহ করেছে কৃষি-বিভাগ। তবে, করোনা ভাইরাসের কারণে এখনো অন্যান্য জেলা থেকে শ্রমিকরা ধান কাটতে না আসায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

একজন বলেন, বাইরের থেকে শ্রমিকরা না আসায় ধান কাটতে পারছি না। ধানগুলো এখন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সুনামগঞ্জ হাওর বাঁচাও আন্দোলন বিজন সেন রায় বলেন, ধান কাটার মেশিনগুলো যদি আমাদের সুনামগঞ্জে খুব দ্রুত সরবরাহ না করা হয়। তাহলে এই সোনালি ফসল কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবে না। ফসল কাটার শ্রমিকের সংকট দূর করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্য জেলা থেকে শ্রমিক আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদ বলেন, অন্য সে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ রয়েছে, তারাও ধান কাটার কাজে নিয়োজিত হবেন। ইতোমধ্যে ধান কাটার জন্য পার্শ্ববর্তী ছেলে থেকে অনেক শ্রমিক চলে এসেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, চলতি মাসের শেষের দিকে সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পানির পাহাড়ি ঢলে বন্যা হতে পারে। আর কৃষি বিভাগ বলছে, হাওরের সব ফসল পাকতে ও কাটতে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগবে।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ পরিচালক মোহাম্মদ সফর উদ্দিন বলেন, যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়। তাহলে আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে হাওরে ধানগুলো কেটে নিয়ে আসতে পারবো। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে হাওরে ১ লাখ ৬১ হাজার ও হাওরের বাইরে ৫৮ হাজারসহ মোট ২ লাখ সাড়ে ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT