মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু, মিনায় হাজিরা

প্রকাশিত : ০৭:২৮ অপরাহ্ণ, ৭ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার ১৬১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ৮ জিলহজ সকাল থেকে লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে মিনায় মুসল্লিরা জড়ো হয়েছেন।

অবশ্য বুধবার রাতেই হাজিরা মিনার তাঁবুতে পৌঁছাতে শুরু করেন। হজযাত্রীর সংখ্যা বিবেচনায় মুয়াল্লিমরা আগের রাত থেকেই হজযাত্রীদের মিনায় নিয়ে যেতে থাকেন।

হজযাত্রীরা বুধবার এশার পর থেকে মক্কার নিজ নিজ আবাসন থেকে ইহরাম বেঁধে মিনায় রওনা হন।

অন্যান্য দেশের হাজিদের সাথে এবার বাংলাদেশের ৫৬ হাজার হাজিও রওনা হন মিনার পথে।

এ সময় গুঞ্জরিত হয় তালবিয়া-‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক। লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নালহামদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়াল মূলক, লা শারিকা লাক।’

করোনার বিধিনিষেধের কড়াকড়ি না থাকায় বেশিরভাগ হাজি মাস্কবিহীন অবস্থায় হজ কার্যক্রমে যোগ দিয়েছেন। মিনায় পৌঁছে হজযাত্রীরা ফজর থেকে শুরু করে এশা অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন নিজ নিজ তাঁবুতে। তবে খায়েফ ও কুয়েতি মসজিদের কাছাকাছি তাঁবু থাকলে মসজিদে গিয়েও নামাজ আদায় করতে পারেন হজযাত্রীরা।

হজের করণীয় সম্পর্কে পবিত্র কাবা শরিফে গুরুত্বপূর্ণ নসিহত পেশ করা হবে আজ। এ খুতবায় হজের করণীয় যাবতীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করা হবে। অতঃপর সন্ধ্যায় মক্কায় অবস্থানকারীরা হোটেল রুম কিংবা মসজিদে হারাম থেকে ইহরাম বেঁধে মিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে।

মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেবেন খতিব। চলতি বছর আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা দেয়ার জন্য সৌদি আরবের বাদশাহ শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করিম আল-ঈসাকে নিযুক্ত করেছেন। একইসাথে মসজিদে নামিরাতে নামাজও পড়ানোর কথা তার।

মূলত ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের দিনকেই হজের দিন বলা হয়। এ দিনের নাম ইয়াওমুল আরাফা।

৯ জিলহজ ফজরের নামাজের পর মিনা থেকেই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা জাবালে রহমতের পাদদেশ ও মসজিদে নামিরা সংলগ্ন ঐতিহাসিক আরাফাত ময়দানে উপস্থিত হবে মুসলিম উম্মাহ। দিনব্যাপী তাসবিহ-তাহলিল, দোয়া ও মাগফেরাত কামনায় কান্নায় মুখরিত করে তুলে আরাফাত নগরী।

৯ জিলহজ দিবাগত রাতে মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করা সুন্নাত। আর ১০ জিলহজ ফজরের নামাজের পর সূর্য ওঠার আগে সামান্য সময় মুজদালিফায় অবস্থান করা ওয়াজিব।

১০ জিলহজ সূর্য ওঠার আগেই মিনার উদ্দেশ্যে মুজদালিফা ত্যাগ করতে হবে। মিনায় গিয়ে দুপুরের আগেই জামরাতে আকাবায় অর্থাৎ বড় জামরায় ৭টি কংকর নিক্ষে করতে হবে।

১০ জিলহজ কংকর নিক্ষেপের পর কুরবানি আদায় করতে হবে। কুরবানি যদি ব্যাংকের মাধ্যমে আদায় করতে হয় তবে কুরবানির সময় জেনে নেয়া। কেননা কুরবানির পরের কাজই হলো মাথা মুণ্ডন বা ন্যাড়া করা। তাই কুরবানির সঠিক সময় জেনে নিয়েই মাথা ন্যাড়া করতে হবে।

ইসলামের বিধান মোতাবেক, ১০ জিলহজ মিনায় প্রত্যাবর্তনের পর হাজিদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানি, মাথা মুণ্ডন করা এবং তাওয়াফে জিয়ারত। এরপর ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান করে প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ করবেন হাজিরা। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ি তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

২০২০ ও ২১ সালের চেয়ে এবারের হজের সমাবেশ অনেক বড়, তবে করোনা পূর্ববর্তী স্বাভাবিক হজের চেয়ে ছোট। সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত ১০ লাখ মুসলিম হজ পালনে মক্কায় সমবেত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮ লাখ ৫০ হাজার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। বাকিরা সৌদি আরবের নাগরিক।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



© ২০২৩ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT