সোমবার ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরিয়ার ক্ষমতা দখলকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত : ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ রবিবার ২৬ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে নেয়া হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যোগাযোগ করেছে। স্থানীয় সময় শনিবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচটিএস গোষ্ঠীটিকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে অবস্থান পাল্টে এবার প্রথমবারের মতো এমন পদক্ষেপ নিল জো বাইডেন প্রশাসন।

জর্ডানে সিরিয়া নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য, তুরস্ক ও পশ্চিমা কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

ব্লিঙ্কেন এইচটিএস-এর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের বিস্তারিত আলোচনা করবেন না বলে সংবাদিকদের জানান। তবে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে গ্রুপটিকে তার আচরণ এবং কীভাবে একটি ক্রান্তিকালে শাসন করতে চায় সে সম্পর্কে বার্তা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।”

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “হ্যাঁ, আমরা এইচটিএস এবং অন্যান্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।” তিনি আরো যোগ করেন, “সিরিয়ার জনগণের প্রতি আমাদের বার্তা হলো: আমরা চাই তারা সফল হোক এবং আমরা তাদের সাহায্য করতে প্রস্তুত।”

জর্ডানে আলোচনায় সিরিয়ার কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। এতে অংশ নেওয়া আটটি আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন, তারা নিশ্চিত করতে চান যে, সিরিয়া একীভূত হবে এবং সাম্প্রদায়িক বিষয়ে বিভক্ত হবে না।

শনিবার সিরিয়ার টেলিভিশনে একটি সাক্ষাৎকারে এইচটিএস নেতা আবু মোহাম্মদ আল-গোলানি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি। তবে তিনি জানান, দামেস্কের নতুন কর্তৃপক্ষ পশ্চিমা দূতাবাসগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।

একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলের পর গত ৮ ডিসেম্বর দামেস্ক দখলে নেয় সিরিয়ার বিদ্রোহীরা। ওইদিনই বাশার আল আসাদ পালিয়ে রাশিয়া চলে যান। এর মধ্যদিয়ে তার ২৪ বছরের দীর্ঘ শাসনের অবসান ঘটে।

সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে মোহাম্মদ আল–বশিরকে। ২০২৫ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন তিনি।
এদিকে, সিরিয়ার মধ্য দিয়ে হিজবুল্লাহর সামরিক সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হিজবুল্লাহ প্রধান নাইম কাসেম। বাশার আল-আসাদের পতনের পর এই রুটটি বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

তবে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি নতুন পথ খোঁজার পরিকল্পনা করছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে ভবিষ্যতে সম্পর্ক পুনর্গঠনের বিষয়েও প্রত্যাশা করছেন তারা।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT