বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে মালদ্বীপ ছেড়েছেন গোতাবায়া

প্রকাশিত : ০৫:২২ অপরাহ্ণ, ১৪ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার ৬০ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

তুমুল গণবিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালানো শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে মালদ্বীপ ত্যাগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের একটি বিমানে করে দ্বীপরাষ্ট্রটি ছাড়েন তিনি।

বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

মালদ্বীপের একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে মালদ্বীপে একটি সৌদি বিমানে চড়েছেন। এই বিমানটি প্রথমে তাকে সিঙ্গাপুর এবং পরে সেখান থেকে তাকে সৌদি আরবের জেদ্দায় নিয়ে যাবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

তবে গোতাবায়ার চূড়ান্ত গন্তব্য কোনটি সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সরকারের অব্যবস্থাপনার ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সঙ্কটে নিমজ্জিত শ্রীলংকায় গত কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভ চলছিল।বুধবার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় দখল করে নেন বিক্ষোভকারীরা।

নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট ও গণ-আন্দোলনের মুখে গত মঙ্গলবার রাতে একটি সামরিক বিমানে দেশ ছেড়ে মালদ্বীপে পালিয়ে যান গোতাবায়া। গোতাবায়া মালদ্বীপে গেলে সে দেশে বসবাসরত শ্রীলঙ্কার বাসিন্দারা বিক্ষোভ করেন। তাকে মালদ্বীপে আশ্রয় না দেওয়ার দাবি জানান তারা।

মালদ্বীপের সাধারণ লোকজনও দেশটির সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গোতাবায়াকে আশ্রয় দেওয়ায় মালদ্বীপের রাজনৈতিক দলগুলো দেশটির সরকারের কঠোর সমালোচনা করে।

গতকাল বুধবার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার পদত্যাগ করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি পদত্যাগ না করেই আগের রাতে দেশ ছেড়ে পালান। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেননি।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বুধবার রাতে মালদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার কথা ছিল গোতাবায়ার। নিরাপত্তাসংক্রান্ত উদ্বেগ থেকে তিনি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ওঠা থেকে বিরত থাকেন।

গোতাবায়ার চাওয়া ছিল প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে বিক্ষোভ সামাল দেবেন।
পার্লামেন্ট স্পিকারকে ফোন করে কালই পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোতাবায়া।

এদিকে বুধবার শ্রীলংকায় সর্বদলীয় নেতাদের বৈঠকে স্পিকারকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট করার প্রস্তাব পাশ হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, তার দল ও বিরোধী দল মিলে সর্বদলীয় সরকার গঠন করবে।

রনিল বিক্রমাসিংহে স্পিকার মাহিন্দ ইয়াপে নতুন প্রধানমন্ত্রী বাছাই করতে বলেছেন, যিনি সরকারি দল ও বিরোধী দলের কাছে গ্রহণযোগ্য।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT