শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সন্ধান মিলল ‘মৃত্যু হ্রদের’, নামলেই নিশ্চিত মৃত্যু!

প্রকাশিত : ০৬:০৮ পূর্বাহ্ণ, ২৬ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার ৭৮ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

হ্রদের পানিতে নামলেই নিশ্চিত মৃত্যু, এমন ভয়ংকর বিষাক্ত এক হ্রদের সন্ধান পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী। লাইভ সায়েন্স ও নিউইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

লোহিত সাগরের প্রায় ছ’হাজার ফুট গভীরে সম্প্রতি ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই মৃত্যুপুরীর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

লবণাক্ত পানির ওই পুলে নামামাত্রই যেকোনো প্রাণীর মৃত্যু হতে পারে বলে লাইভ সায়েন্সে দাবি করেন স্যাম পুরকিস নামে এক বিজ্ঞানী।

সাধারণত সমুদ্রের নীচে এই ধরনের গভীর এবং অগভীর হ্রদ সৃষ্টি হয়। এগুলোকে ‘ব্রাইন পুল’ বলা হয়। গভীর সমুদ্রের নীচে এই হ্রদের সৃষ্টি হয়।

কেন এতটা প্রাণঘাতী সেই হ্রদ? এ ব্যাপারে স্যাম ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ঘাতক এই পুলে লবণের মাত্রা অত্যাধিক। এই এলাকার পানি সমুদ্রের সাধারণ পানির চেয়ে তিন থেকে আট গুণ বেশি লবণাক্ত। শুধু তাই-ই নয়, ওই পানিতে অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যের মাত্রাও অনেক। এখানে রয়েছে বিষাক্ত হাইড্রোজেন সালফাইডের ভাণ্ডার। ফলে সমুদ্রের পানির চেয়ে এই হ্রদের পানি একেবারেই আলাদা। তা ছাড়া এই হ্রদে অক্সিজেনের কোনো অস্তিত্ব নেই। আর সে কারণেই মুহূর্তেই মারা পড়তে পারে সামুদ্রিক জীব বা কোনো প্রাণী।

অবশ্য এই হ্রদে বিপুল পরিমাণ জীবাণু রয়েছে। তবে পৃথিবীতে কী ভাবে সমুদ্রের সৃষ্টি হয়েছিল, তা জানতে এই আবিষ্কার অনেকটাই সাহায্য করবে বলে দাবি করেছেন স্যাম।

তিনি আরও জানান, এই আবিষ্কার জরুরি ছিল। কারণ এর থেকেই আন্দাজ করা যাবে অন্য কোনো গ্রহে এ রকম পরিস্থিতিতে কোনো প্রাণী বেঁচে আছে কি না।
এদিকে, নিউইয়র্ক পোস্টের মতে, বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত এটিই প্রথম ব্রাইন পুল নয়। গত ৩০ বছরে, সমুদ্রবিজ্ঞানীরা লোহিত সাগর, ভূমধ্যসাগর এবং মেক্সিকো উপসাগরে ‘কয়েক ডজন’ এ ধরনের ভয়াবহ হ্রদ আবিষ্কার করেছেন।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT