সোমবার ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংখ্যালঘুদের নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য উসকানিমূলক

প্রকাশিত : ০৯:১৪ পূর্বাহ্ণ, ৪ নভেম্বর ২০২৪ সোমবার ২২ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শুক্রবার বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ধরনের সমালোচনা করেছেন তার বক্তব্যটি পুরোপুরি উসকানিমূলক ও বড় ধরনের সংঘাতের ইঙ্গিত। এশিয়া মানবাধিকার সংস্থা এ ধরনের বক্তব্য সমর্থন করে না। এশিয়া মানবাধিকার সংস্থা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। গতকাল রোববার এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার মহাসচিব নজরুল ইসলাম বাবলু সংস্থাটির পক্ষে এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, একজন বিশ্বনেতা হিসেবে মি. ডোনাল্ড ট্রাম্প তার স্বাভাবিক চিন্তার জায়গায় বসে এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দিতে পারেন না! এশিয়া মানবাধিকার সংস্থা মনে করে, বাংলাদেশকে অশান্তির গোলচত্বর বানানোর জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ও ভিনদেশি শক্তির ইশারায় আলেমদের জঙ্গি বানানো এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। এ ধরনের ঘটনায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় নেতাকর্মী ও ভিনদেশি সোর্স ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোনো রাজনৈতিক দল, সংগঠন জড়িত ছিল না।

বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের কিছু অংশ তুলে ধরা হয়। ট্রাম্প লিখেছেন, বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর হামলার কড়া নিন্দা জানাচ্ছি। যারা উচ্ছৃঙ্খল জনতার দ্বারা হামলা ও লুটের শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে।

এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এধরনের বক্তব্য ভুল তথ্য দ্বারা সজ্জিত। এ ধরনের ঘটনা গত ৫ আগস্ট-২৪’র পর থেকে কোথাও ঘটেনি। বাংলাদেশ এখন মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ-খ্রিস্টানের মিলিত বিজয়ের অংশ। সম্প্রীতির মিলন মেলায় আগামীর বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ। এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের উচিত সর্ব ভারতে মুসলমানদের ওপর ভারতীয় বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদী সরকারের যে, দমন-পীড়ন ও গণহত্যা চালানো হচ্ছে, সে বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো। এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার মনে করে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নয়! ভারতে মুসলিম সংখ্যালঘুরা, ইসরায়েলি বাহিনী দ্বারা ফিলিস্তিন-গাঁজাবাসী নির্যাতিত। তবে সকল স্বৈরশাসকের কঠিন বিচার হওয়া উচিত।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT