শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পালটা আক্রমণের মূল কারিগর যিনি

প্রকাশিত : ০৯:৩৭ অপরাহ্ণ, ১৭ জুন ২০২৩ শনিবার ৭৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে দেড় বছর ধরে রাশিয়ার দখলে থাকা কয়েকটি এলাকা ‘মুক্ত’ করতে পুরোদমে অভিযান চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। এ অভিযানের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের নেপথ্যে রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যক্তি। তিনি জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কদিন আগেও ৪৯ বছর বয়সি ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি সম্পর্কে কেউ তেমন জানতেন না। এখন তিনি জনপ্রিয়তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে টেক্কা দিচ্ছেন।

বন্ধু ও সহপাঠীদের কাছে ‘আমাদের ভ্যালেরা’ নামে পরিচিত জেনারেল জালুঝনিকে ২০২১ সালের জুলাইয়ে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

জেনারেল জালুঝনির পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের মতে, ব্যক্তিগতভাবে তাকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলনস্কি। তার এ নিয়োগে অনেকে তো বটেই, জেনারেল জালুঝনি নিজেও বেশ অবাক হয়েছিলেন। কারণ অনেককে ডিঙিয়ে তাকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন জেলেনস্কি।

অবশ্য আগে থেকেই একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও আধুনিকমনা সেনা কমান্ডার হিসেবে পরিচিতি ছিলেন জালুঝনি। একই সঙ্গে একজন নিরহংকারী মানুষ হিসেবেও সবার কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা আছে। তিনি অধস্তনদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা করতে পছন্দ করেন এবং নিজেকে অন্যদের কাছে বড় হিসেবে তুলে ধরতে চান না।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক যুদ্ধের মোকাবিলায় ইউক্রেনকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি। ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যায়, তিন দিনের মধ্যে রুশ সেনারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। যদিও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, তেমন কোনো বাধা ছাড়াই রাশিয়ার সেনারা কিয়েভের দখল নিয়ে নেবেন।

তবে বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। ইউক্রেনের সরকার জনগণকে এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান। এরপর রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হতে থাকে। একই সঙ্গে রাজধানী কিয়েভের জন্য এমন একটা হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, যা আমলে না নেওয়ার কোনো উপায় ছিল না।

এরপর ইউক্রেনের নেতৃস্থানীয়দের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে যায়। তারা পরিকল্পনা করেন, কিয়েভের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দীর্ঘ এক নদী নিপ্রোর ওপরে থাকা সেতুগুলো ধ্বংস করে দেবেন। এর ফলে নিপ্রো নদীর পূর্ব তীর পা হয়ে রাশিয়ার সেনারা পশ্চিম তীরে আসতে পারবেন না। যেখানে অন্যান্য কৌশলগত স্থাপনার সঙ্গে ইউক্রেনের সরকারি কোয়ার্টারগুলোও অবস্থিত।

এরপর কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে মতামত জানতে জেনারেল জালুঝনিকে ফোন করেন। ওই সময় অন্য শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি পরিখায় অবস্থান করছিলেন জেনারেল জালুঝনি।

এ ঘটনার পর যুদ্ধ নিয়ে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ২০২২ সালের এপ্রিলের শুরুর দিকে ইউক্রেনের সেনারা কিয়েভের উত্তর ও পূর্বদিক থেকে রাশিয়ার সেনাদের পিছু হটতে বাধ্য করেন।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT