শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

যোদ্ধাদের প্রতিরোধ মানে ইসরায়েলের পরাজয় : খামেনি

প্রকাশিত : ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ণ, ৮ নভেম্বর ২০২৪ শুক্রবার ৮ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় একের পর এক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশটি এ হামলা চালিয়ে আসছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস ও লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতিরোধ মানে ইসরায়েলের পরাজয় বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তেহরানে ইরানের অ্যাসেম্বলি অব এক্সপার্টস সদস্যদের সঙ্গে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, হামাস এবং হিজবুল্লাহ এখনো গাজা ও লেবাননে লড়াই করছে তা ইসরায়েলের পরাজয়ের ইঙ্গিত দেয়। ইসরায়েল হামাসকে সমূলে উৎখাত করতে চেয়েছিল কিন্তু এর বদলে তারা গণহত্যা করেছে। সারা বিশ্বের কাছে ইসরায়েল তার কুৎসিত চেহারা দেখিয়েছে এবং নিজেকে বিচ্ছিন্ন করেছে।

তিনি বলেন, ইসরায়েল ভেবেছিল তারা শীর্ষ নেতাদের হত্যা করে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকে স্তব্ধ করতে পারে, কিন্তু হামাস লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এর অর্থ ইহুদিবাদী শাসকের পরাজয় হয়েছে।

হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহকে ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানী তেহরানে হত্যা করা হয়। এছাড়া হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ গত সেপ্টেম্বরে বৈরুতে নিহত হন।

খামেনি বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে, হিজবুল্লাহ বৈরুত, সিডন, টায়ার এবং শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ লেবাননের বেশিরভাগ এলাকা সহ অনেক ঘটনায় ইসরাইলকে লেবাননের ভূখণ্ড থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে। হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের একটি ছোট দল থেকে একটি বিশাল সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে। বর্তমানে গোষ্ঠীটির এমন একটি প্রতিপক্ষকে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে যা আমেরিকার রাষ্ট্রপতিদের দ্বারা ব্যাপকভাবে সমর্থিত।

তিনি আরও বলেন, লেবাননের অভ্যন্তরে কিছু লোকসহ অনেকে হিজবুল্লাহকে দুর্বল মনে করছে। তারা ভাবছে যে শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের অনেককে হত্যার পর এটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তারা ভুল ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। হিজবুল্লাহ আর শক্তিশালী হয়েছে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। সংগঠন এবং যোদ্ধাদের সঙ্গে আধ্যাত্মিক শক্তি রয়েছে। শত্রুরা তা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT