শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যে কারণে জাপানের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় থাকবেন শিনজো আবে

প্রকাশিত : ০৫:৪৩ অপরাহ্ণ, ৮ জুলাই ২০২২ শুক্রবার ১২২ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

আততায়ীর গুলিতে শুক্রবার নিহত হয়েছেন জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।

শান্তি প্রিয় দেশ জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এমন মৃত্যু নাড়া দিয়েছে পুরো বিশ্বকে।

জাপানের রাজনৈতিক ইতিহাসে অন্যতম পরিচিত ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তিনি। তার রাজনৈতিক ইতিহাস সমৃদ্ধ।

শিনজো আবে জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী।

তিনি জাপানের অর্থনীতিকে উঁচুস্থানে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন।

শিনজো আবে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন ২০০৬ সালে। তখন তার বয়স ছিল ৫২ বছর। যুদ্ধ পরবর্তীকালীন সময়ে সবচেয়ে কম বয়সে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড গড়েন তিনি।

তিনি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হন।

শিনজো আবেকে তরুণ ও পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে দেখা হত। তবে তিনি রাজনীতিতে নিয়ে এসেছেন তৃতীয় প্রজন্মের কিছু রাজনীতিবীদকে। যারা এসেছে উচ্চপদস্থ এবং রক্ষণশীল পরিবার থেকে।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শিনজো আবের প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম মেয়াদ ছিল বাজে। ওই সময় বিভিন্ন স্ক্যান্ডাল এবং বিরোধে জর্জরিত ছিল তার প্রধানমন্ত্রিত্ব। তার প্রথম মেয়াদের অবসান হয়েছিল মাত্র এক বছরের মধ্যে। ওই সময় পদত্যাগ করেন তিনি।

প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল তিনি রাজনৈতিক কারণে পদত্যাগ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে শিনজো আবে জানান তিনি আলসারেটিভ কোলিটিস নামে রোগে ভুগছিলেন।

জাপানের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা আবে ফের ক্ষমতায় আসেন ২০১২ সালে। এর মাধ্যমে ১৯৪৮ সালের পর জাপানের ইতিহাসে সাবেক কোনো প্রধানমন্ত্রী ফের ক্ষমতায় আসেন।

এরপর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে ফের ক্ষমতায় আসেন। এতে করে প্রধানমন্ত্রী হন আবে।

তবে ২০২০ সালে তিনি ফের পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের কারণ হিসেবে জানান তার পুরনো রোগ আলসারেটিভ কোলিটিস জটিল আকার ধারণ করেছে।

তিনি যখন আততায়ীর হাতে গুলিতে নিহত হন তখন রাজনৈতিক প্রচারণা চালাচ্ছে।

সূত্র: আল জাজিরা

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT