বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধ শেষে প্রবাসী হামাস নেতাদের হত্যা করবে ইসরাইল

প্রকাশিত : ১০:০৪ অপরাহ্ণ, ২ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার ৪৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর চলমান পাশবিকতা শেষ হলে ইহুদিবাদী ইসরাইল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী হামাস নেতাদের হত্যা করবে বলে একটি পরিকল্পনার কথা ফাঁস করেছে মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশ পাওয়ার পর মোসাদসহ দেশটির কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থাগুলো লেবানন, তুরস্ক ও কাতারসহ অন্যান্য পারস্য উপসাগরীয় দেশে বসবাসরত হামাস নেতাদের হত্যা করার পরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু করেছে। তেল আবিব ধরে নিয়েছে গাজা উপত্যকায় তার চলমান আগ্রাসনে হামাস পরাজিত হবে এবং এই সংগঠনের সব নেতা ও যোদ্ধা নিহত হবে। এরপর বাকি থাকবে প্রবাসী হামাস নেতারা। যদিও হামাস বলেছে, চলতি যুদ্ধে তাদের বিজয় হবে এবং ইসরাইল সেনারা অপমানজনকভাবে গাজা উপত্যকা ত্যাগ করবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রবাসী হামাস নেতাদের হত্যা করা হবে কি না ইসরাইলি নেতাদের সামনে এখন আর সে প্রশ্ন নেই বরং তারা এখন এই প্রশ্ন নিয়ে কাজ করছে যে, কবে ও কোথায় তাদের হত্যা করা হবে।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরাইলে প্রবেশ করে আল-আকসা তুফান অভিযান চালানোর পরপরই ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামাসের প্রবাসী নেতা খালেদ মিশালকে হত্যা করার দাবি ওঠে।

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নভেম্বর মাসের শেষদিকে এক বক্তব্যে প্রবাসী হামাস নেতাদের হত্যা করার আভাস দেন। তিনি বলেন, হামাস নেতারা বিশ্বের যেখানেই থাকুক তাদের হত্যা করার জন্য তিনি মোসাদকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে অন্য দেশে বসবাসরত ফিলিস্তিনি নেতাদের হত্যা করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে ইসরাইলের। ১৯৯০-এর দশকে ইসরাইলি গোয়েন্দারা লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হামাস নেতা খালেদ মিশালকে হত্যা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল। অবশ্য ইসরাইলের সর্বশেষ পরিকল্পনাটি সবার সমর্থন লাভ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোসাদের সাবেক পরিচালক এফরাইম হেলভি। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী পদ্ধতিগতভাবে হামাসের সব নেতাকে হত্যা করার অর্থ হবে প্রতিশোধ গ্রহণ করা; কৌশলগত লক্ষ্য অর্জন নয়।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT