বুধবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধে রুশ বাহিনীর ভয়ঙ্কর কৌশল : শক্তিশালী দুর্গ ধ্বংস

প্রকাশিত : ০৪:৪৮ অপরাহ্ণ, ২০ জুন ২০২৩ মঙ্গলবার ৭৮ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নয় রূপ দেখতে যাচ্ছে বিশ্ববাসী। রাশিয়ার ভয়ানক নতুন কৌশলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তারা পাল্টা হামলার চালানোর পর কিছু সাফল্য পেলেও আবার পিছু হটতে শুরু করেছে। রাশিয়া তার সর্বশেষ এই কৌশল নিয়েছে যেন যুদ্ধে দ্রুত জয়লাভ করা সম্ভব। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন এই যুদ্ধ এত সহজে শেষ হবার নয়। কারণ বিশ্বের পরাশক্তিগুলো এই যুদ্ধের পেছনে কলকাঠি নাড়ছে।

জানা যায়, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ নামে আগ্রাসন শুরু করে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। এরই মধ্যে ১৫ মাস পেরিয়ে গেছে যুদ্ধের। দীর্ঘ এই সময়ে যুদ্ধক্ষেত্রে বহু কৌশল ব্যবহার করেছে রুশ বাহিনী। যেগুলোর কিছু সফল হয়েছে; আবার কিছু ব্যর্থ হয়েছে।

এবার প্রকাশ্যে এল রুশ বাহিনীর নতুন ভয়ঙ্কর এক কৌশল। আর তা হল- ট্যাংকের ভেতর বিপুল বিস্ফোরক বোঝাই করে তা ইউক্রেনীয় সেনাদের কাছে পাঠানো এবং রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে দূর থেকে বিস্ফোরণ ঘটানো।

রুশ বাহিনীর ব্যবহৃত এ কৌশলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, কীভাবে বিস্ফোরকবাহী একটি ট্যাংক ইউক্রেনীয় বাহিনীর দিকে এগিয়ে যায় এবং একটা সময় প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে বিস্ফোরিত হয়।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার দাবি করেছে, ডোনেটস্কের মারিঙ্কায় বিস্ফোরক বোঝাই ট্যাংক পাঠিয়ে ইউক্রেনীয় সেনাদের একটি শক্তিশালী দুর্গ ধ্বংস করে দিয়েছে তারা।

এ ব্যাপারে টেলিগ্রাম চ্যানেলে রুশ মন্ত্রণালয় বলেছে, “৩ দশমিক ৫ টন টিএনটি এবং পাঁচটি এফএবি-১০০ বোম্বস ট্যাংকের ভেতর রাখা হয়েছিল। একটি এফএবি-১০০ বোম্বসে সাধারণ ১০০ কেজি বিস্ফোরক থাকে।”

বিস্ফোরকবোঝাই ট্যাংকটি ইউক্রেনীয় সেনাদের কাছে নিয়ে যাওয়া এবং সেটিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর দায়িত্ব ছিল ‘বার্নল’ (ছদ্মনাম) নামের এক সেনার।

তিনি বলেছেন, “শত্রুদের কাছ থেকে ৩০০ মিটার দূরে থাকা অবস্থায়, ট্যাংক অপারেটর ট্যাংক থেকে নেমে পড়েন। ওই সময়, শত্রুদের অবস্থানের দিকে এটি চলতে থাকে।”

তিনি আরও বলেছেন, “ট্যাংক অপারেটর নেমে পেছনের দিকে চলে যান। আমি ওই সময় পেছন থেকে এটির দিকে নজর রাখতে থাকি, যখন এটি শত্রুদের কাছে পৌঁছায়, রেডিও কন্ট্রোলের মাধ্যমে এতে বিস্ফোরণ ঘটাই।”

এই সেনা আরও বলেছেন, “বিস্ফোরণটি বেশ গুরুতর ছিল। সেখানে অনেক বিস্ফোরক ছিল। রেডিওতে ধরা পড়া বার্তায় আমরা জানতে পেরেছি, শত্রুরা অনেক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।”

ড্রোন থেকে তোলা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ট্যাংকটি খুব সম্ভবত প্রথমে কোনো একটি মাইনে আঘাত করে। এরপর এতে বিশাল বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের ঠিক আগ মুহূর্তে ইউক্রেনের দিক থেকে একটি আলোর ঝটকা দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ট্যাংকটি ধ্বংস করতে কোনো কিছু ছুঁড়েছিল তারা। সূত্র: সিএনএন, নিউ ইয়র্ক পোস্ট, ডেইলি মেইল

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT