সোমবার ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিরতি চায় ইসরাইল, যে শর্ত দিল হামাস

প্রকাশিত : ০৮:২৫ পূর্বাহ্ণ, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ সোমবার ৬৬ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নতুন যুদ্ধবিরতির লক্ষ্য নিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে হামাসের আলোচনা চলছে। এই আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র।

মিসরের দুটি সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, ইসরাইল এবং হামাস উভয়ই নতুন যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তি চায়। তবে কিভাবে এটি কার্যকর হবে সে বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে।

সূত্রগুলোর বরাতে জানা গেছে, হামাস ইসরাইলকে দুটি শর্ত দিয়েছে। প্রথমটি হলো— তারা বলছে কোন জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে সেই তালিকা তারাই তৈরি করবে।
দ্বিতীয়টি হলো— ইসরাইলি সেনাদের পূর্ব নির্ধারিত অবস্থানে পিছিয়ে যেতে হবে।

ইসরায়েল হামাসের তালিকা তৈরির বিষয়টিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো। তবে তারা এজন্য একটি সময়সীমা ও তালিকা দেখানোর দাবি জানিয়েছে। মূলত যুদ্ধবিরতির সময় নির্ধারণ করার জন্য ইসরায়েল এমন দাবি করেছে।

তবে সেনাদের পূর্ব নির্ধারিত অবস্থানে প্রত্যাহার করে নেওয়ার যে শর্ত হামাস দিয়েছে, সেটি ইসরাইল প্রত্যাখ্যান করেছে।

গত শুক্রবার গাজা সিটিতে ভুলক্রমে তিন জিম্মিকে গুলি করে হত্যা করে ইসরাইলি সেনারা। ওই জিম্মিদের মৃত্যুর পর হামাসের সঙ্গে নতুন করে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি-বন্দি বিনিময় চুক্তি করার জন্য বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার ওপর চাপ তৈরি হয়। এর পরই হামাসের সঙ্গে নতুন চুক্তির আলোচনা শুরু করে ইসরাইল।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স আরও জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার দাবি জানিয়েছে, গাজায় সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে ইসরায়েলকে। এজন্য একটি বর্ডার ক্রসিং খুলে দিতে বলেছে দেশটি।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT