শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোকে কড়া হুশিয়ারি দিল রাশিয়া

প্রকাশিত : ০৪:৫৬ অপরাহ্ণ, ৩ মার্চ ২০২৩ শুক্রবার ৪১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

রাশিয়ার আক্রমণের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা করে আসছে। এখন পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোও এই যুদ্ধে যুক্ত হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর অংশগ্রহণ বিপর্যয়কর পরিণতির ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া।

বৃহস্পতিবার জেনেভায় নিরস্ত্রীকরণবিষয়ক সম্মেলনে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়।

রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ সম্মেলনে বলেন, ইউক্রেনে এবং এর আশপাশের এলাকায় সংঘাতকে আরও উসকে দেওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো নীতির কারণে এখন সবচেয়ে তীব্র কৌশলগত হুমকি তৈরি হয়েছে।

রিয়াবকভ আরও বলেন, সশস্ত্র সংঘর্ষে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততা বিপর্যয়কর পরিণতিসহ পারমাণবিক শক্তিগুলোর সরাসরি সামরিক সংঘর্ষের ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।

রিয়াবকভের এই বক্তব্যের সময় সম্মেলনকক্ষ প্রায় খালি হয়ে যায়। পশ্চিমা কূটনীতিকরা তার বক্তব্য বর্জন করে বাইরে ইউক্রেনের পতাকায় মোড়া একটি ম্যুরালের সামনে ছবি তুলতে জড়ো হন।

ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ইয়েভেনিয়া ফিলিপেনকো বলেন, ‘একে রাশিয়ার উসকানিবিহীন ও অন্যায় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের জনগণের প্রতি একাত্মতা দেখানোর অসাধারণ নিদর্শন হিসেবে মনে করি আমরা।’

যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত সিমন ম্যানলি বলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত ইউক্রেনের মাটি থেকে রাশিয়া তাদের ট্যাংক সরিয়ে নিচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ইউক্রেনের সহকর্মীদের প্রতি আমরা সমর্থন জানিয়ে যাব। তাদের যুদ্ধ মানে আমাদের যুদ্ধ।’

বিশ্বের সবচেয়ে অগ্রণী বহুপক্ষীয় নিরস্ত্রীকরণ ফোরামের পক্ষ থেকে কনফারেন্স অন ডিজআর্মমেন্ট (সিডি) নামের এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়। স্নায়ুযুদ্ধের অস্ত্র প্রতিযোগিতা থামানোর চেষ্টা হিসেবে ১৯৭৯ সালে প্রথম এই ফোরাম গঠিত হয়। সিডি জাতিসংঘের কোনো অংশ নয়। তবে এর সদস্যরা জেনেভায় জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ ও নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করে। গত বছর ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলা শুরুর পর থেকে এই ফোরামে কথার লড়াই শুরু হয়েছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT