বুধবার ১৮ জুন ২০২৫, ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোদি-আদানি সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলাতেই নিশানায় আমি: রাহুল

প্রকাশিত : ০৭:২৬ অপরাহ্ণ, ২৫ মার্চ ২০২৩ শনিবার ১২৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

লোকসভায় সদস্য পদ হারানোর পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার ‘ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি গৌতম আদানিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘মোদি-আদানি সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলাতেই আমাকে নিশানা করা হয়েছে।’

সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল প্রশ্ন তুলেছেন দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আদানিদের ঘনিষ্ঠ চীনা শিল্প সংস্থার ‘অংশগ্রহণ’ নিয়েও।

রাহুল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই তার সফরসঙ্গী আদানির ছবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। এর পর দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরের লিজ় নিয়ম-বহির্ভূতভাবে আদানিকে দিয়ে দেওয়া হয়।’

মোদির সঙ্গে আদানির সম্পর্ক বহু পুরনো বলে উল্লেখ করেন লোকসভায় বিরোধী দল কংগ্রেসের এই নেতা। সাংবাদিকদের সামনে রাহুল মন্তব্য করেন, ‘আমি জানি না উনি (আদানি) কোথা থেকে এসে জুটলেন।’

রাহুল বলেন, ‘আদালতের রায়কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে লোকসভায় আমার সদস্য পদ খারিজ করা হয়েছে। কিন্তু দেশের স্বার্থে আমি লড়াই চালিয়ে যাব। আমি যে ভয় পাই না, ওরা (বিজেপি) এত দিনেও সেটা বুঝতে পারেনি।’

মোদির পদবি নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের জেরে বৃহস্পতিবার রাহুলকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেন গুজরাটের সুরাত জেলা আদালত। তারই ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শুক্রবার ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় রাহুলের সদস্য পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।

নয়া দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে রাহুলের দাবি, ‘প্রধানমন্ত্রী আমার সংসদে পরবর্তী বক্তৃতা নিয়ে ভীত ছিলেন। তাই এমন করা হল।’

ব্রিটেন সফরে গিয়ে তিনি ‘দেশকে অপমান’ করেছেন বলে বিজেপি শিবিরের যে অভিযোগ তা নস্যাৎ করে রাহুল বলেন, ‘আমি দেশবিরোধী কোনো মন্তব্য করিনি। তাদের (বিজেপি) সমস্যা হলো, আদানির অপমানকে তারা দেশের অপমান ভাবেন।’

শনিবার সংবাদ সম্মেলনে রাহুল বলেন, ‘আমি পার্লামেন্টে কথা বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু বলতে দেওয়া হয়নি। কথা বলতে চেয়ে দুইবার চিঠি দিয়েছি, স্পিকারের সঙ্গে দেখাও করেছি; কিন্তু বলার সুযোগ পাইনি।’

প্রসঙ্গত, লন্ডন থেকে ফিরে গত বৃহস্পতিবার পার্লামেন্ট ভবনে ঢোকার আগে রাহুল বলেন, ‘আমি (লন্ডনের আলোচনা সভায়) ভারতবিরোধী কিছু বলিনি। যদি সুযোগ দেওয়া হয়, তবে পার্লামেন্টের ভেতরেও সেই কথা বলব।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT