শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় ঘানায় বিক্ষোভ, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি

প্রকাশিত : ০৫:২৮ অপরাহ্ণ, ৬ নভেম্বর ২০২২ রবিবার ৮৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

আফ্রিকান দেশ ঘানায় মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন শত শত মানুষ। শনিবার (৫ নভেম্বর) রাজধানী আক্রায় বিক্ষোভ চলাকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো আদ্দোর পদত্যাগ দাবি করেন আন্দোলনকারীরা।

দেশটি চরম অর্থনৈতিক গোলযোগের মধ্যে পড়েছে। রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম। ফলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ছে আক্রার মানুষ। শনিবার বিক্ষোভে এক হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন। এ সময় তাদের অনেকের হাতে ‘আকুফো আদ্দো মাস্ট গো’ সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে সরকারের চলমান আলোচনারও বিরোধী তারা। বিক্ষোভে আইএমএফ না বলেও চিৎকার করেন অনেকে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট গত সপ্তাহে ঘানাবাসীকে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৩৭ শতাংশ, যা গত ২১ বছরে সর্বোচ্চ। সেকারণে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি।

রাফায়েল উইলিয়াম নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, তিনি ব্যর্থ এবং তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছি। অতিরিক্ত জ্বালানির দাম মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।

জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের বিরুদ্ধে চলতি বছর ধারাবাহিক বিক্ষোভের সবশেষ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি এটি। বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশটির এক চতুর্থাংশ মানুষ প্রতিদিন ২ দশমিক ১৫ ডলারের কম আয় করেন।

ঘানা স্বর্ণ, কোকো ও তেল উৎপাদনকারী দেশ। চলতি বছর ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রার ৪০ শতাংশের বেশি দরপতন হয়েছে। ফলে অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকিতে দেশটি।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন বলেন, ‘আমরা আইএমএফের সঙ্গে কথা বলছি। তাদের ঋণ দেওয়া উচিত নয়। যথেষ্ট হয়েছে, আমাদের প্রচুর পরিমাণে সোনা আছে, তেল আছে, ম্যাঙ্গানিজ আছে, হীরা আছে। এদেশে আমাদের যা যা দরকার তার সবই আছে। আমাদের প্রয়োজন শুধু নেতৃত্ব’।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT