ভারতের নয়া রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
প্রকাশিত : ০৫:২৬ পূর্বাহ্ণ, ২২ জুলাই ২০২২ শুক্রবার ৬১ বার পঠিত
ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের প্রার্থী আদিবাসী সাঁওতাল নারী দ্রৌপদী মুর্মু। দেশটির কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সূত্র দাবি করেছে, তিনদফা ভোট শেষে ভোট গণনা বৃহস্পতিবার ভারতের পার্লামেন্ট হাউসে স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দ্রৌপদী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে দলের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে পরাজিত করেন। খবর জিনিউজ ও বিবিসি অনলাইনের। নির্বাচিত প্রার্থী ২৫ জুলাই রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন।
তবে এই গণনাকে নিছক আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। দ্রৌপদী মুর্মু রাজধানী নয়াদিল্লীর তিন মূর্তি মার্গের একটি বাসভবনে অবস্থান করছেন। ফল ঘোষণার পর তাকে অভিনন্দন জানাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেখানে যান। মুর্মুর ‘জয় ঘোষণার’ পর দলীয় সদর দফতর থেকে রাজপথ পর্যন্ত একটি বিজয় মিছিলের আয়োজন করে দিল্লী বিজেপি।
বিজেপির রাজ্য শাখাগুলোও মুর্মুর বিজয় উদযাপনের পরিকল্পনা করেছে। মুর্মু ওড়িশার রায়রংপুর শহরের বাসিন্দা। তার জয় উদযাপন করার জন্য শহরটির লোকজন ২০ হাজার মিষ্টি প্রস্তুত করে রেখেছে। সেখানে সাঁওতাল নাচসহ বিজয় মিছিল করা হবে। ঝাড়খণ্ডের সাবেক গবর্নর মুর্মুকে এনডিএ নিজেদের প্রার্থী হিসেবে বেশ হিসাব করেই বেছে নিয়েছে বলে ধারণা ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
বর্তমানে ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রামনাথ কোবিন্দ। তাঁর মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৪ জুলাইয়ে। সোমবার থেকে ভারতের পার্লামেন্টে বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৭ সালেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একজন শক্ত প্রার্থী ছিলেন ৬৪ বছর বয়সী দ্রৌপদী মুর্মু। কিন্তু সব পূর্বানুমান মিথ্যে করে দিয়ে তখন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন বিজেপির পছন্দের দলিত প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দ। অন্যদিকে যশবন্ত সিনহা অটল বিহারি বাজপেয়ী সরকারের আমলে অর্থমন্ত্রী ছিলেন। তিনি পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তারও আগে প্রধানমন্ত্রী চন্দ্র শেখরের অধীনে ১৯৯১-৯২ সালে তিনি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০০২ সালের জুলাই থেকে ২০০৪ সালের মে পর্যন্ত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
ভারতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেন ইলেকটোরাল কলেজের সদস্যরা, অর্থাৎ এমপি ও বিধায়করা। ভারতে এখন লোকসভায় নির্বাচিত সদস্য সংখ্যা ৫৪৩ এবং রাজ্যসভায় ২৩৩। তবে রাজ্যসভায় পাঁচটি আসন খালি রয়েছে। আর ৩০ বিধানসভার মোট বিধায়কের বর্তমান সংখ্যা ৪ হাজার ১২৩জন। দেশটিতে ১৯৭১ সালের জনগণনার রিপোর্টকে ভিত্তি করে এমপি ও বিধায়কদের ভোটমূল্য নির্ধারিত হয়।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।