বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভারতজুড়ে কংগ্রেসের বিক্ষোভ

প্রকাশিত : ০৬:০৭ পূর্বাহ্ণ, ২২ জুলাই ২০২২ শুক্রবার ৬৬ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ভারতের বহুল আলোচিত ন্যাশনাল হেরাল্ড সংশ্লিষ্ট অর্থপাচার মামলায় দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেসের নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বৃহস্পতিবার সোনিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিবাদে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ করেছেন কংগ্রেসকর্মীরা। এই বিক্ষোভ থেকে রাজধানী নয়াদিল্লীতে কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা ট্রেন অবরোধ এবং বাসে অগ্নিসংযোগ করেছেন। খবর এনডিটিভির।

দেশটির সংবাদমাধ্যম বলছে, সোনিয়া গান্ধীকে জেড প্ল্যাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়ে ইডির কার্যালয়ে নিয়ে যায় দেশটির আধা-সামরিক বাহিনী সিআরপিএফ। কিছুদিন আগে করোনার চিকিৎসা নেয়া গান্ধীর সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে রাহুল গান্ধী এবং মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তবে ইডির এই জিজ্ঞাসাবাদের নিন্দা জানিয়েছে সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। রাজনৈতিক উদ্দেশে সোনিয়াকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। দলীয় প্রধানের সমর্থনে দেশজুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের ডাক দেয়ায় দলটির বেশ কয়েক নেতাকে গ্রেফতার করেছে ভারতের পুলিশ। ‘ইডির অপব্যবহার বন্ধ কর’ লেখা বিশাল ব্যানার নিয়ে কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার তদন্ত সংস্থাটির ভবনেও বিক্ষোভ করেছেন।

এছাড়া দেশজুড়েও বিশাল বিক্ষোভ-প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেছেন তারা। দেশটির সংবাদমাধ্যম বলছে, দিল্লীতে কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভে জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। দিল্লীর বিভিন্ন প্রান্তে ব্যক্তিগত যানবাহনে অগ্নিসংযোগ এবং ভাংচুর করেছেন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। কিছু কিছু জায়গায় বিক্ষোভকারীরা ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেছেন।

১৯৩৮ সালে ভারতের কয়েক স্বাধীনতা সংগ্রামীকে সঙ্গে নিয়ে ন্যাশনাল হেরাল্ড প্রতিষ্ঠা করেন কংগ্রেসের সাবেক প্রেসিডেন্ট প-িত জওহরলাল নেহেরু। প্রতিষ্ঠার অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই এই ইংরেজী দৈনিক কংগ্রেসের মুখপত্র হয়ে ওঠে। স্বাধীনতার পরও বেশ দাপটের সঙ্গে চলছিল ন্যাশনাল হেরাল্ড। ইংরেজীর পাশাপাশি হিন্দি ও উর্দু ভাষার সংস্করণও বের হত এ পত্রিকার।

প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর পর, ২০০৮ সালে প্রায় ৯০ কোটি রুপী ঋণের বোঝা নিয়ে বন্ধ হয়ে যায় ন্যাশনাল হেরাল্ড। ন্যাশনাল হেরাল্ড ও তার দুই অঙ্গ সংস্থা এ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল) এবং ইয়াং ইন্ডিয়া লিমিটেডের (ওয়াইআইএল) পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন কংগ্রেসের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী। ২০১২ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা ও আইনজীবী সুব্রামানিয়ান স্বামী ন্যাশনাল হেরাল্ড, এজেএল ও ইয়াং ইন্ডিয়ার তহবিল তছরুপ ও মুদ্রাপাচারের অভিযোগ আনেন সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীসহ পর্ষদের আরও ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত আসামিরা ন্যাশনাল হেরাল্ড তহবিলের প্রায় ২ হাজার কোটি রুপীর তহবিল তছরুপ ও মুদ্রাপাচারের সঙ্গে যুক্ত।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT