বিদ্যুৎ বিভাগের ২ প্রকৌশলীর কারাদণ্ড, ৭০ লাখ টাকা জরিমানা
প্রকাশিত : ০৬:১৪ পূর্বাহ্ণ, ২০ জুলাই ২০২২ বুধবার ১২৩ বার পঠিত
দুর্নীতির মামলায় পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ দুইজনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ করে (মোট ৭০ লাখ টাকা) জরিমানা করেছে বরিশালের একটি আদালত।
মঙ্গলবার বরিশালের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদি আল মাসুদ রায় দেন।
দন্ডিত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হলেন – লক্ষ্মী নারায়ন ভূঁয়া ও পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া গ্রীড উপ কেন্দ্রের অবসরপ্রাপ্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. হানিফ হোসেন গাজী।
লক্ষ্মী নারায়ন ভূঁয়া পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া গ্রামের সত্য নারায়ন ভূঁয়ার ছেলে ও হানিফ হোসেন গাজী বরিশাল নগরীর কাজীপাড়া এলাকার হাসমত আলী গাজীর ছেলে।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) একেএম নুরুউদ্দীন আহমেদ জানান, মামলায় রায়ে দুইজনকে কারাদণ্ড ও একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় মামলার তিন আসামি উপস্থিত ছিলেন।
পিপি জানান, দণ্ডিত দুইজনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া খালাসপ্রাপ্তকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
খালাসপ্রাপ্ত হলেন, পিজিবি খুলনার সিকিউরিটি পরিদর্শক বর্তমানে ঢাকা রামপুরা আফতাব নগরের ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারের কর্মরত মো. আনোয়ার হোসেন।
মামলার বরাতে পিপি জানান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী লক্ষ্মী নারায়ন ভূঁয়া বরিশাল গ্রীড সংরক্ষন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী থাকাকালীন সময়ে ভান্ডারিয়া গ্রীড উপকেন্দ্র থেকে কচা নদীর পূর্ব পাড় পর্যন্ত পরিত্যক্ত সঞ্চালন লাইনের এক কোটি ৩৬ লাখ ৬৭ হাজার ৫৪৭ টাকার মালামাল আত্মসাত করে। এই ঘটনায় দুদকের বরিশাল জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মতিউর রহমান বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট তিনজনকে আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় মামলা করেন। ওই কর্মকর্তা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
বিচারক মামলার ২১ জনের মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে রায় দিয়েছেন।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।