মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাখমুতের রাস্তায় রাস্তায় চলছে লড়াই

প্রকাশিত : ০৮:২৯ পূর্বাহ্ণ, ৫ মার্চ ২০২৩ রবিবার ৯৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাখমুত শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে বেশ কিছু দিন ধরে। আস্তে আস্তে হলেও শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দিকে অগ্রসর হয়েছে রুশ বাহিনী।

পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুত শহর দখল নিয়ে তীব্র লড়াই চলছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনী সেখান থেকে হঠে আসার আগে শেষবারের মতো প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

পশ্চিমা দেশের বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাখমুত থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রত্যাহারের মঞ্চ তৈরি হয়েছে।

ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় সৈন্যরা ওই শহরের পশ্চিমে নতুন পরিখা খনন করেছে এবং তাদের অভিজাত ইউনিটগুলোকে সেখানে পাঠানো হয়েছে।

কিন্তু বাখমুতের ডেপুটি মেয়র অলেক্সান্ডার মার্চেনকো জোর দিয়ে বলছেন, রুশ সৈন্যরা এখনও শহরটি দখল করতে পারেনি।

দু’পক্ষের প্রচণ্ড লড়াইয়ের মধ্যে রুশ বাহিনীর নিয়মিত সৈন্যরা শহরের উত্তরাঞ্চলে অগ্রসর হচ্ছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে ওয়াগনার গ্রুপের ভাড়াটে সৈন্যরা।

বাখমুতের ডেপুটি মেয়র জানিয়েছেন, শহরের শেষ ৪,০০০ বেসামরিক নাগরিক গ্যাস, বিদ্যুৎ বা পানি বিহীন অবস্থায় আশ্রয়কেন্দ্রে লুকিয়ে রয়েছেন। শহরটির একটি বিল্ডিংও অক্ষত নেই, এবং প্রচণ্ড গোলাবর্ষণে পুরো শহরটি ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।

রাশিয়ান বাহিনী গত কয়েক দিন ধরে বাখমুতের দিকে অগ্রসর হয়েছে। তবে শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিগত কয়েক মাস ধরে তীব্র গোলাবর্ষণ এবং বিধ্বস্ত শহরটির চারপাশে দুই পক্ষের লড়াই চলছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দোনেৎস্ক অঞ্চলের উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ এ শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে রাশিয়ার জন্য যুদ্ধে বিজয় লাভ করা অনেকটা সহজ হবে। শহরটিকে নিজের দখলে আনা রাশিয়ার জন্য সাম্প্রতিক মাসগুলিতে এক বিরল সাফল্য বলে বিবেচিত হবে।

কিন্তু এর পরও এই শহরটির কৌশলগত গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, বাখমুতের গুরুত্বের চেয়ে রুশ বাহিনীকে অনেক চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে।

যুদ্ধের আগে বাখমুতের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৭৫ হাজার।কিন্তু এই শহরটিকে দখলের জন্য হাজার হাজার রুশ সৈন্যকে প্রাণ দিতে হয়েছে।

ইউক্রেনের সেনা অধিনায়করা অনুমান করেছেন, তাদের তুলনায় রাশিয়া সাতগুণ বেশি সৈন্য হারিয়েছে। ।

এখন প্রচণ্ড গোলাবর্ষণের মধ্যে রুশ বাহিনী এবং ওয়াগনার গ্রুপের ভাড়াটে সৈন্যরা বাখমুতের বেশিরভাগ এলাকা ঘিরে রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT