বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাইডেনের সেই মন্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্রের দিকেও অভিযোগের আঙুল সালমানের

প্রকাশিত : ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ, ১৭ জুলাই ২০২২ রবিবার ৬৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার প্রিন্স সালমানের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সৌদি-মার্কিন সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার বিষয়টি উত্থাপন করেন বলে জানিয়েছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, প্রিন্স সালমান তার কাছে বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে জামাল খাসোগির হত্যার সঙ্গে জড়িত নন।

প্রিন্স সালমান এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। বাইডেনের কাছে প্রিন্স সালমান যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ভুলের বিষয়টি তুলে ধরেন বলে আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রেরও ভুল হয় উল্লেখ করে প্রিন্স সালমান বলেন, ‘বিশ্বের যেকোনো জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে’। এসময় তিনি ইরাকের আবু গারিব কারাগারে বন্দি নির্যাতনসহ ওয়াশিংটনের ‘বেশ কয়েকটি ভুলের’ বিষয় তুলে ধরেন।

সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আল-আরবিয়া এক সৌদি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বাইডেন ও প্রিন্স সালমান ‘জামাল খাসোগি হত্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন’ এবং প্রিন্স সালমান ‘নিশ্চিত করেছেন যে যা ঘটেছে তা দুঃখজনক এবং আমরা এর পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করার জন্য সব আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি’।

২০১৮ সালে তুরস্কে সৌদি আরবের দূতাবাসে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে নৃশংসভাবে হত্যা করে সৌদি হিট স্কোয়াডের সদস্যরা। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও রিপোর্ট দেওয়া হয় প্রিন্স সালমান খাগোসিকে হত্যার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন।

রিপোর্ট প্রকাশের পর বাইডেন বলেছিলেন, সৌদি আরবকে একটি একঘরে রাষ্ট্র করে দেবেন তারা।

তবে সবকিছু ভুলে সৌদি সফরে গেছেন জো বাইডেন নিজে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, প্রিন্স সালমান তার কাছে বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে জামাল খাসোগির হত্যার সঙ্গে জড়িত নন।

এ ব্যাপারে বাইডেন বলেন, আমি সরাসরি বলেছি।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে, আমরা কারা, আমি কি সে হিসেবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে চুপ থাকা ঠিক নয়। আমি সব সময় আমাদের মান বজায় রাখব।

তিনি আরও বলেন, প্রিন্স সালমান বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে এ হত্যার সঙ্গে জড়িত নন।তবে আমি তাকে জানিয়েছি, আমি মনে করি তিনি জড়িত।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে মুষ্টি মেলান। তাদের এ ছবি প্রকাশের পর জামাল খাসোগির কর্মস্থল ওয়াশিংটন পোস্ট ও তার বাগদত্তা তীব্র সমালোচনা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বের মানুষকে বাঁচাতেই সৌদি আরবের সঙ্গে আবার সম্পর্ক উন্নয়ন করছেন তারা।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT