রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫, ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে হামলার নির্দেশ নেতানিয়াহুর

প্রকাশিত : ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শনিবার ১০ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শুক্রবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তেল আবিবের উপকণ্ঠের বাত ইয়াম শহরে তিনটি বাস বিস্ফোরিত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় এই নির্দেশ দেন তিনি।

ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির বাত ইয়ামের বিভিন্ন স্থানে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ ঘটেছে এবং আরও দুটি বিস্ফোরক ডিভাইস নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এই হামলার জন্য ‘ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে’ দায়ী করেছেন।

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহুর অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তিনি উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক শেষে নতুন করে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালানোর পাশাপাশি ইসরায়েলি শহরগুলোর নিরাপত্তা আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এক্স মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী আইডিএফ-কে (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) পশ্চিম তীরের জুডিয়া ও সামারিয়া অঞ্চলের সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে তীব্র অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’

এ ছাড়া ইসরায়েলি পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে ইসরায়েলের শহরগুলোর সন্ত্রাসবিরোধী প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম জোরদার করতে বলেছেন নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের পুলিশ কমান্ডার হাইম সারগারফ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত ডিভাইসগুলো পশ্চিম তীর থেকে আনা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ জানিয়েছেন, পশ্চিম তীরের বিশেষ করে তুলকারেম শরণার্থীশিবিরে সামরিক অভিযান আরও বাড়ানো হবে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কয়েক সপ্তাহ ধরে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহর ও শরণার্থীশিবিরে প্রতিদিন অভিযান চালাচ্ছে। এসব অভিযানে অনেক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে এবং অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এএফপি ও ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী ও বসতকারীদের হামলায় কমপক্ষে ৮৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলের সরকারি তথ্যমতে, ওই সময়ের মধ্যে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের হামলা এবং অভিযান চালাতে গিয়ে অন্তত ৩২ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন সেনাসদস্যও রয়েছেন।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT