বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রাথমিকে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ ও দ্রুত ফল প্রকাশের দাবি

প্রকাশিত : ০৪:৫০ অপরাহ্ণ, ২০ নভেম্বর ২০২২ রবিবার ৭৩ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার নিয়োগ ও দ্রুত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) সামনে মানববন্ধন করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।

রোববার সকাল ১০টার দিকে এ মানববন্ধন শুরু হয়।

জানা গেছে, ২০২০ সালে ৩২ হাজার ৫৭৭ পদে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে যথাসময়ে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে না পারায় পদসংখ্যা বাড়িয়ে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা বলা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনেকে আবার ৫৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথাও বলেছেন অনেকে। তবে শেষ মুহূর্তে এটি আর হচ্ছে না বলে জানানো হয়।

এ ছাড়া প্রাথমিকের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ নিয়েও এ পর্যন্ত বহুবার সময় দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কিন্তু তারিখের পর তারিখ গেলেও এখনো চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

সর্বশেষ ২৫ নভেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশের কথা বলেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত। কিন্তু ফল প্রকাশের বিষয়ে শনিবার গণমাধ্যমে তিনি বলেন, কবে ফল প্রকাশিত হবে, এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

এদিকে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া চাকরিপ্রত্যাশী মোবারক হোসেন অন্তর বলেন, ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি হলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের। কারণ করোনার দুই বছরে অবসরজনিত কারণে আরও ১০ হাজারের বেশি পদ শূন্য হয়েছিল। এটি মন্ত্রণালয়ের সদ্য বিদায়ী সচিবের মুখের কথা, যা গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু গতকাল শনিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানানো হলো, পদসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে না। এটি করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বেকারদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। সে কারণে আমরা মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি।

হাফিজুর রহমান নামে আরেক চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, এর আগের নিয়োগগুলোতে প্রতি তিনজনে একজন আনুপাতিক হারে নিয়োগ দেওয়া হতো। এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলাই আছে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে, তা হলে কেন এই ১০ থেকে ১৫ হাজার অবসরজনিত শূন্য পদে নিয়োগ নিশ্চিত করা হবে না? তাই আমরা কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।

জাহিদুর রহমান নামে আরেক চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, গত এপ্রিল থেকে এ নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ভাইভা কার্যক্রম শেষ হয়েছে গত ১২ অক্টোবর। অথচ এতদিনেও চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে পারছে না তারা। আর বর্তমানে টাকার বিনিময়ে বেশিরভাগ পদ বাগিয়ে নেওয়ার রীতি চালু হয়েছে। প্রাথমিকে অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এবারও কি সে কারণেই ফল প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে কিনা তা নিয়ে আমরা সন্দিহান।

সবশেষে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর তাদের দুই দফা দাবি না মানলে লাগাতার কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন চাকরিপ্রত্যাশী আন্দোলনকারীরা।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



এই বিভাগের জনপ্রিয়

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT