শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

পৃথিবীর আর কোনো দেশে সংস্কৃতির ওপর এতো আঘাত আসেনি

প্রকাশিত : ০৬:৫৬ অপরাহ্ণ, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সোমবার ৬৮ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। বৃথা যায়নি।পাকিস্তানিরা বারবার বাংলার ওপর আঘাত হেনেছে। পৃথিবীর আর কোনো দেশে এতোবার সংস্কৃতির ওপর আঘাত আসেনি।

আজ (সোমবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত একুশে পদক ২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামে একটি দেশের সৃষ্টি হয়, যারা পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। একসময় তারা আমাদের সংস্কৃতিতে আঘাত হানে। আমাদের ওপর উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেয়। করাচিতে এক আলোচনায় তারা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমাদের দেশে প্রবল আন্দোলন শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের পর ১৯৫৩ সালে প্রথম ভাষা শহীদ দিবস পালন করা হয়। আরমানিটোলায় এক সভায় এ দিবস পালনের দাবি তোলা হয়। এরপর ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করে। এরপরেও পাকিস্তানিরা থেমে থাকেনি। তারা তখন উর্দু হরফে বাংলা লেখার নিয়ম করে, আরবি হরফে বাংলা লেখার নিয়ম করে। রবীন্দ্রনাথের গান নিষিদ্ধ করে। যার প্রতিবাদে ছাত্রসহ সবাই রাজপথে নেমে আসে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বেই আমরা ভাষা আন্দোলনে, মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করেছি। ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমাদের এ আন্দোলন ছিল সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন।

শেখ হাসিনা বলেন, একটা সময় আমাদের দেশে জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এমনকি শেখ মুজিবের নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। সেসময় অনেকে বলেছেন, শেখ মুজিব তো আন্দোলন করেননি, জেলে ছিলেন। কিন্তু তিনি তো ভাষা আন্দোলনের জন্যই কারাবরণ করেছেন।

সরকারপ্রধান বলে ,মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় ছিলেন। এই সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই তিনি সবার স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে নির্মম হত্যার ২১ বছর পর আমরা ক্ষমতায় আসি। এক দফার পর পরবর্তীতে তিন দফায় ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য ২০৪২ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ে তোলা। আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণীজনদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। সমাজে এমন অনেক গুণীজন পড়ে আছেন, যাদের বিষয়ে অনেকে জানে না। আমরা তাদের অবদান স্মরণ করার চেষ্টা করি। একটা সময় অল্প কিছু লোককে এ পদক দেওয়া হতো। আমি ২১ জনকে বেছে নিই। আমি আশা করি, নতুন প্রজন্মও এভাবে সমাজে ভূমিকা রাখবে। কারণ গুণীজনদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT