সোমবার ২৩ জুন ২০২৫, ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুতিনকে তিন পথের দিশা দেবেন শি জিনপিং

প্রকাশিত : ১০:২৬ অপরাহ্ণ, ২০ মার্চ ২০২৩ সোমবার ১০৪ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর প্রথমবারের মতো রাশিয়া সফর করলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সোমবার তিনি মস্কো পৌঁছান। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তিন পথের দিশা দেবেন। যুদ্ধ বন্ধে আপস করা, যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া অথবা ভিন্ন কোনো পথ।

অনেক বিশ্লেষক বলছেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতির গোলযোগপূর্ণ এমন সময় শি জিনপিংয়ের রাশিয়া সফর দেশটির প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থনেরই বহিঃপ্রকাশ।

শি’র রাশিয়া সফরের মূল কেন্দ্রবিন্দুও যে ইউক্রেন সংকট তা বেশ পরিষ্কার। কারণ এই যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে চীনের ভূরাজনৈতিক সম্পর্ক।

যদি যুদ্ধে রাশিয়া পরাজিত হয় তাহলে কী করতে পারে চীন? তারা কি পিছিয়ে যাবে নাকি রুশ সেনাবাহিনীকে সামরিক সহায়তা দেবে? বেইজিং অবশ্য বরাবরই বলছে তারা ‘নিরপেক্ষ’।

এ সফর নিয়ে নোবেলবিজয়ী রুশ সাংবাদিক মুরাতভ বলেন, পুতিন তার নিজস্ব ব্লক তৈরি করছেন। তিনি আর পশ্চিমাদের বিশ্বাস করেন না। কখনো করবেনও না। তিনি আরও বলেন, রাশিয়াকে চীনের পাশাপাশি ভারত, ল্যাটিন আমেরিকা এবং আফ্রিকার কিছু মিত্র দেশগুলোর একটি শক্তিশালী ব্লক সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছেন। এখানে তার উদ্দেশ্য হলো-একটি পশ্চিমাবিরোধী বিশ্ব গড়ে তোলা।

মুরাতভ মনে করেন, ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে এই পশ্চিমাবিরোধী বিশ্ব চীনের ওপর আগের চেয়ে অনেক বেশি নির্ভরশীল।

ওয়াশিংটনের কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের (একটি নির্দলীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক) সিনিয়র ফেলো আলেকজান্ডার গাবুয়েভ বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতি এবং অর্থনৈতিক নীতির সাংগঠনিক নীতিতে পরিণত হয়েছে।

এক্ষেত্রে চীন রাশিয়াকে সরাসরি সামরিক সহায়তা না করলেও অন্তত অস্ত্রের উপাদান এবং বেসামরিক প্রযুক্তি সরবরাহ করে। যা রাশিয়া সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলা করতে এবং রুশ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য, রাশিয়া চীনের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে জ্বালানি খাতে বাণিজ্য বাড়াচ্ছে। শি’র এই সফরে পুতিন রাশিয়ার তেল, গ্যাস এবং জ্বালানি পাইপলাইনের বিষয়গুলো আলোচ্যসূচিতে রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT