মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩, ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পরবর্তী মহামারির জন্য বিশ্বকে প্রস্তুত রাখার পরামর্শ ডব্লিউএইচও প্রধানের

প্রকাশিত : ০৬:৫১ অপরাহ্ণ, ২৪ মে ২০২৩ বুধবার ১১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

পরবর্তী মহামারির জন্য বিশ্বকে প্রস্তুত রাখা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস।

এক সতর্কবার্তায় তিনি বলেছেন, পরবর্তী মহামারি, যা এমনকী কোভিড-১৯ এর চেয়েও মারাত্মক হতে পারে, তার জন্য বিশ্বকে প্রস্তুত রাখা দরকার।

৭৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে দেওয়া প্রতিবেদনে গেব্রিয়েসুস এমনটাই মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

এমন এক সময়ে তিনি এ সতর্কবার্তা দিলেন, যখন বিশ্বজুড়ে কোভিড রোগীর সংখ্যা একরকম স্থিতিশীল আছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বৈশ্বিক জরুরি অবস্থার ইতি মানেই কোভিড-১৯ আর বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি নয়, এমন নয়। আরেকটি ধরনের উদ্ভব এবং তার কারণে রোগ ও মৃত্যুর নতুন ঢেউয়ের ঝুঁকি রয়ে গেছে, নতুন আরেকটি রোগের আবির্ভাব এবং সেটির আরও মারাত্মক হওয়ার সম্ভাবনাও থেকেই যাচ্ছে।

স্বাস্থ্যজনিত এক সংকটের মধ্যে আরেক সংকটের আবির্ভাব এবং পরিস্থিতি আরও নাজুক হওয়ার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে ডব্লিউএইচওর এই মহাপরিচালক বলেন, আমরা যেসব হুমকির মুখে রয়েছি, মহামারীই তাদের মধ্যে একমাত্র নয়, বরং এর অবস্থান বেশ খানিকটা দূরে। যখন পরবর্তী মহামারি কড়া নাড়বে এবং সেটি আসবেই, তখন আমাদেরকে সমষ্টিগতভাবে আগে থেকে নির্ধারিত ও উপযুক্ত উপায়ে জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

তিনি সব ধরনের স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় কার্যকর বৈশ্বিক ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।

প্রসঙ্গত, আগামী দুই বছরের কার্যক্রমের জন্য ঐতিহাসিক বাজেট পেল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ৬৮৩ কোটি মার্কিন ডলার।

নতুন বাজেটে বাধ্যতামূলক সদস্যদের ফিস ২০ শতাংশ বৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সোমবার জাতিসংঘের এ সংস্থাটির বার্ষিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সভায় কোনো আপত্তি ছাড়াই এ বাজেট অনুমোদন করে মূল কমিটির সদস্য রাষ্ট্রগুলো।

ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস এ পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক এবং একটি বড় মাইলফলক’ হিসাবে উল্লেখ করে এর প্রশংসা করেন।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT