মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩, ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নিষেধাজ্ঞা মাড়িয়ে গান্ধীর সমাধিতে সত্যাগ্রহে কংগ্রেস

প্রকাশিত : ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ, ২৭ মার্চ ২০২৩ সোমবার ৩১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের প্রতিবাদে দিল্লি পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থল রাজঘাটে সত্যাগ্রহ করেছে কংগ্রেস। সারাদেশে কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার সকালে রাজঘাটে পৌঁছান দলটির নেতাকর্মীরা। কর্মসূচিতে অংশ নেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, পি চিদম্বরম, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, জয়রাম রমেশ, সলমন খুরশিদসহ অনেকে। অবশ্য এই কর্মসূচিকে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে উল্লেখ করে এর সমালোচনা করেছে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। খবর এনডিটিভির।

সত্যাগ্রহ বন্ধ করতে রাজঘাটের বাইরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিল্লি পুলিশ। রোববার সকালেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই নির্দিষ্ট সময়ে রাজঘাটে পৌঁছান দলটির নেতাকর্মীরা। প্ল্যাকার্ড, রাহুলের ছবি ও দলীয় পতাকা নিয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন তাঁরা।

রোববার দেশের সব জেলায় মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতির সামনে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সত্যাগ্রহের কর্মসূচি গ্রহণ করে কংগ্রেস। আন্দোলনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সংকল্প সত্যাগ্রহ’।

এ বিষয়ে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, রাহুল গান্ধীর কণ্ঠ রোধ করতে চায় বিজেপি। সে জন্যই তাঁর লোকসভার পদ বাতিল করা হয়েছে।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, পরিবার নিয়ে অনেক কথা বলে বিজেপি। আমাদের পরিবার নিয়ে দেশবাসী গর্বিত। এই পরিবার সারাজীবন দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে দিল্লি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, রাজঘাটে গান্ধী সমাধির বাইরে কোনোদিন কোনো আন্দোলন বা ধরনা হয়নি। সে জন্যই ১৪৪ ধারা জারি থাকে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নেতারা উপস্থিত হয়েছেন।

এদিকে এই কর্মসূচিকে দেশের সংবিধানের বিরুদ্ধে প্রচারণা বলে অভিহিত করেছে বিজেপি। রোববার সংবাদ সম্মেলনে বিজেপির মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদীও দাবি করেন, জাতির পিতা সামাজিক কারণে সত্যাগ্রহের আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস ব্যক্তিগত কারণে ‘তথাকথিত সত্যাগ্রহ’ পালন করছে। এটি তাঁর প্রতি অবমাননা।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT