বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে জয়ী হলে গাজায় ইসরাইলি যুদ্ধ থামাতে চান ট্রাম্প

প্রকাশিত : ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ, ৩১ অক্টোবর ২০২৪ বৃহস্পতিবার ২৫ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হলে গাজা যুদ্ধ শেষ করতে চান তিনি। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত দুটি সূত্র এই সপ্তাহে টাইমস অব ইসরাইলকে এ তথ্য জানিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের একজন সাবেক কর্মকর্তা এবং এক ইসরাইলি কর্মকর্তার মতে, জুলাই মাসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে গাজা যুদ্ধ নিয়ে এই বার্তা তুলে ধরেন ট্রাম্প।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদিও ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে প্রকাশ্যে নিশ্চিত করেছেন, তিনি ইসরাইলকে দ্রুত যুদ্ধে জয়ী করতে চান। তবে এবারই প্রথম নির্দিষ্ট সময়সীমা নিয়ে কথা বলেছেন। মার্কিন নির্বাচনে জয়ী হলে দ্রুত যুদ্ধ থামাতে চান ট্রাম্প।

সাবেক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অবশ্য ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে কোনো কোনো শর্ত দেননি এবং যতক্ষণ ইসরাইল আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ শেষ করছে না, ততক্ষণ গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করতে পারে।

নেতানিয়াহু দীর্ঘদিন ধরে জোর দিয়ে বলছেন, গাজা যুদ্ধের পর অদূর ভবিষ্যতের জন্য গাজার উপর অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে। এছাড়া অন্যান্য ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলে আসছে, ইসরাইল হামাসকে সনাক্ত করাতে গাজায় একটি বাফার জোন তৈরি করবে। যাতে নিয়মিতভাবে গাজায় নজরদারি নিশ্চিত করা যায়।

এমনটা হলে হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতি মেনে নেবে কিনা, সেটাও একটা প্রশ্ন থেকে যায়। কারণ হামাস চায়, গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে।

গাজা যুদ্ধে ইসরাইলকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ৪৩ হাজার ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে ১ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির তীব্র দাবি উপেক্ষা করে ইসরাইল গাজায় নিষ্ঠুর হামলা অব্যাহত রেখেছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT