সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিন-রাত ঈশ্বরকে ডাকছে ইউক্রেনের সেনারা

প্রকাশিত : ০৬:০৬ অপরাহ্ণ, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শুক্রবার ৮৯ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

বাইবেলের বাণী ‘ঈশ্বর রহস্যময় উপায়ে চলেন’-বুকে লালন করেই যুদ্ধ জয়ে নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে অলৌকিক সহায়তা খুঁজছে ইউক্রেন সেনারা। প্রতিটা সেনাঘাঁটিতেই ছুটে চলছেন ধর্মগুরুরা। রণাঙ্গনের আকাশে-বাতাসে পবিত্র বাইবেলের ধ্বনি।

সেনাদের কপালে আশীর্বাদের তিলক আর পবিত্র জলের ছিটা। যুদ্ধক্ষেত্র যেন পরিণত হয়েছে উপাসনালয়ে। যুদ্ধবাজ রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে পশ্চিমা মিত্র, ভারী অস্ত্র, সেনাবহরের পাশাপাশি আধ্যাত্বিকতাকেও বেছে নিয়েছে ইউক্রেন।

৯৫তম পৃথক এয়ার অ্যাসল্ট ব্রিগেডের ধর্মগুরু মাইকোলা বেরেজিক। লাডা ১৬০০ মডেলের একটি গাড়ি চালিয়ে তিনি ছুটে চলছেন একটির পর একটি যুদ্ধ ঘাঁটিতে। সৈন্যদের কাছে দ্রুত পৌঁছাতে কিনেছেন গাড়িও। প্রতিরক্ষার জন্য তার গলার ক্রুশ ব্যতীত আর কিছুই নেই। ২৮ বছর বয়সি ফাদার মাইকোলা তার সঙ্গে পবিত্র পানির পাত্র, মোমবাতি আর কালো চামড়ার ব্যাগে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ বাইবেল বহন করেন। গত বছর আগস্টে তিনি যুদ্ধ ময়দানেই আহত হন। গুলি তার হৃদয় থেকে মাত্র দুই সেন্টিমিটার দূরে লেগেছিল।

যুদ্ধের মধ্যে দেশটির সেনারা ভাগ্যবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রথমসারির ক্লান্ত সৈন্যরা ফিরলে সম্মানের সঙ্গে তাদের মাথার টুপি সরিয়ে নেওয়া হয়। চকচকে আলোর নিচে কালো পোশাক আর অলঙ্কৃত ফাদার মাইকোলা তাদের অভিবাদন জানান। সৈন্যরা নতজানু হয়ে ঝুলন্ত সোনার ধূপকাঠি থেকে ভেসে আসা ধূপের ধোঁয়ার মিষ্টি গন্ধ মেখে নেয় গায়ে।

শোনানো হয় বাইবেলের পবিত্র বাণী। পুরোহিতরা তখন শান্তির জন্য প্রার্থনা করেন। প্রার্থনা শেষে সেনাদের কপালে পবিত্র জল ছিটিয়ে এবং অভিষেক তিলক দিয়ে আশীর্বাদ করেন। ফাদার মাইকোলা বলেন, ‘পুরো বিশ্বের জানা উচিত আমরা শুধু রাইফেল দিয়ে নয়, ঈশ্বরের শব্দ দিয়েও লড়াই করছি। আমরা হৃদয় আর আত্মা দিয়ে যুদ্ধের ময়দানে যুদ্ধ করছি।’

৩৭ বছর বয়সি তিখি জানান, যুদ্ধক্ষেত্রে ভাগ্যের জন্য তার পকেটে ক্রিসমাস ট্রির কিছু অবশিষ্টাংশ আর বাচ্চাদের খেলনা আছে। যুদ্ধের আগে এসব জিনিস ভাগ্য বদলে কাজ করে। যোদ্ধারা যখন অন্য ইউনিটে সামনের সারিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয় এর আগে খোলা আকাশের নিচে ফোঁটা ফোঁটা বরফের মধ্যেও করা হয় প্রার্থনা।

৪০ বছর বয়সি সেনা কুক এই ধরনের কার্যক্রমকে ইউক্রেনের অস্তিত্বের যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে মনে করেন।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT