তাইওয়ানকে শক্তি দেখাল চীন
প্রকাশিত : ০৬:১৪ অপরাহ্ণ, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার ৯৩ বার পঠিত
তাইওয়ানে আবারও নিজেদের সামরিক শক্তির জানান দিল চীন। ২৪ ঘণ্টায় (রোববার) এই দ্বীপ ভূখণ্ডটির দিকে ৭১টি যুদ্ধবিমান এবং সাতটি জাহাজ পাঠিয়েছে এশিয়ার পরাশক্তি দেশটি।
সোমবার এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ দাবি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘সাহস ও উসকানি’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাইওয়ানের প্রতি এটি এখন পর্যন্ত চীনের সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তি প্রদর্শন হিসাবে দেখা হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ৭১টি চীনা যুদ্ধবিমানের মধ্যে ছিল ১৮টি জে-১৬, ১১টি জে-১ ফাইটার, ছয়টি এসইউ-৩০ ফাইটার ও ড্রোন। তাইওয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ৪৭টি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ান প্রণালির মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে। তারা স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থার পাশাপাশি নিজস্ব নৌবাহিনীর জাহাজগুলোর মাধ্যমে চীনা পদক্ষেপগুলো পর্যবেক্ষণ করছেন।
এসব যুদ্ধবিমান মহড়ার বিষয়ে রোববার এক বিবৃতিতে চীন জানিয়েছে, তারা তাদের শাসিত দ্বীপের (তাইওয়ান) চারপাশে সমুদ্র এবং আকাশপথে যৌথ যুদ্ধ প্রস্তুতি টহল এবং যৌথ ফায়ার পাওয়ার স্ট্রাইক ড্রিল পরিচালনা করেছে। পিএলএর ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের মুখপাত্র শি ই বলেছেন, ‘এটি বর্তমান যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ানের উত্তেজনা এবং উসকানির দৃঢ় প্রতিক্রিয়া।’ শি তার বিবৃতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা ব্যয় বিলের কথা উল্লেখ করে বলেন, চীন এটিকে একটি কৌশলগত চ্যালেঞ্জ বলে থাকে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ক্ষেত্রে ওই আইনে তাইওয়ানের সঙ্গে বর্ধিত নিরাপত্তা সহযোগিতার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। উদীয়মান প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি, প্রস্তুতি এবং সরবরাহের ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে বর্ধিত সহযোগিতার প্রয়োজনের কথাও উল্লেখ করেছে। বার্তা সংস্থা এপি বলছে, তাইওয়ানের পক্ষে মার্কিন সরকারের নানা পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় চীনের সামরিক বাহিনী প্রায়ই শক্তি প্রদর্শন হিসাবে বড় সামরিক মহড়া ব্যবহার করে আসছে।
এর আগে আগস্টে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের প্রতিক্রিয়ায় ব্যাপক সামরিক মহড়া পরিচালনা করে চীন। ধারণা করা হচ্ছে, সম্প্রতি অনুমোদিত মার্কিন প্রতিরক্ষা ব্যয় বিলে তাইওয়ানসম্পর্কিত বিধানের কারণে বেইজিং ক্ষুব্ধ হয়েছে।
গত শুক্রবার তাইওয়ানের সঙ্গে বর্ধিত নিরাপত্তা সহযোগিতা অনুমোদন করে ৮৫৮ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা ব্যয় বিলে স্বাক্ষর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপরই চীন-তাইওয়ান সম্পর্কে উত্তেজনার পারদ ওপরের দিকে উঠছে। তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।