শনিবার ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ড. ইউনূস ‘গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড’: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত : ০৮:১০ পূর্বাহ্ণ, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ বুধবার ২১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

আওয়ামী লীগ নেত্রী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সম্প্রতি আমেরিকার নিউইয়র্কে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বিস্ফোরক এক অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং চলমান গণহত্যার পেছনে প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের নাম উল্লেখ করেছেন। হাসিনার দাবি, ড. ইউনূসের ইন্ধনেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হচ্ছে এবং তাদের টার্গেট করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনার বিস্ফোরক অভিযোগ

শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আজ আমার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তোলা হচ্ছে, কিন্তু সত্য হলো ড. ইউনূসই এই গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড। ছাত্র নেতাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে তিনি গণহত্যায় লিপ্ত হয়েছেন। এমনকি তারেক রহমানও লন্ডন থেকে জানিয়েছে, যদি এভাবে গণহত্যা চালানো হয়, তাহলে এই সরকার বেশিদিন টিকবে না।” এই অভিযোগের মাধ্যমে তিনি নতুন করে দেশের রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন।

সাম্প্রদায়িক হামলা এবং সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ

হাসিনার অভিযোগ অনুযায়ী, ড. ইউনূসের ইন্ধনে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। মন্দির, গির্জা, এবং ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের উপর হামলা চলছেই। তিনি বলেন, “সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে, তাদের ধর্মীয় স্থাপনা ভাঙচুর করা হচ্ছে, আর এই হামলাগুলোর পেছনে ড. ইউনূসের পরিকল্পনা রয়েছে।”

ক্ষমতাচ্যুতির পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার, যা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে। শেখ হাসিনার অভিযোগ, এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র হতে থাকে, যা সমগ্র দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলে।

সাম্প্রদায়িক উসকানি এবং ষড়যন্ত্র

শেখ হাসিনার ভাষ্যমতে, দেশে সাম্প্রদায়িক উসকানি এবং ষড়যন্ত্র শুরু হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল দেশের শান্তি বিঘ্নিত করা এবং সরকারকে অস্থিতিশীল করা। এই পরিস্থিতিতে তিনি ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপের জন্য সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আহ্বান জানান।

ড. ইউনূসের ভূমিকা এবং দেশব্যাপী প্রতিক্রিয়া

শেখ হাসিনার এই অভিযোগের পর দেশব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের পর রাজনৈতিক ও সামাজিক বিশ্লেষকরা বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছেন। অনেকে মনে করছেন, শেখ হাসিনার বক্তব্যে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে, ড. ইউনূসের পক্ষ থেকে এখনো এই অভিযোগের কোনো প্রত্যুত্তর দেওয়া হয়নি, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে আরও বিভ্রান্তি তৈরি করছে।

নতুন রাজনীতি এবং গণতান্ত্রিক সংকট

শেখ হাসিনার বিস্ফোরক অভিযোগ রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার ঝড় তুলেছে। ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে তার এই আক্রমণ বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট এবং রাজনীতির নাটকীয় মোড়কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে, বিশেষত যখন এমন গুরুতর অভিযোগ উঠছে যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং সাম্প্রদায়িক হামলাগুলোর পেছনে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের হাত রয়েছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT