বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫, ২রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
◈ ‘কোথায় থাকব, কে আশ্রয় দেবে জানি না’ ◈ সিরিজ জয়ে চোখ বাংলাদেশের ◈ চাকরি জীবনে একবার গুরুদণ্ড পেলে ওসি হতে পারবেন না ◈ পাহাড়ে ফলের নতুন ভান্ডার ◈ সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ভারতের ◈ মোহাম্মদপুরের গ্যাং প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৪২ ◈ সৌদিতে নারী যাত্রীদের জন্য বিশেষ সেবা আনছে উবার ◈ নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে গত মাসে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে জয়ী হয়েছেন জোহরান মামদানি। এটি শহরটির অনেক মানুষের জন্য আনন্দের খবর হলেও কপালে উদ্বেগের ভাঁজ পড়েছে আবাসন ব্যাবসায়ীদের। তারা ক্ষতির ঝুঁকি দেখছেন। এরই মধ্যে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন খাতসংশ্লিষ্ট অনেকে। তারা বলছেন, পরিবর্তনশীল এ সময়ে গ্রাহকরা ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না; তারা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। নিউইয়র্কে আবাসন ব্যবসার ব্রোকার জে বাত্রা জানান, তাঁর ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ম্যানহাটানে লাখ লাখ ডলারের সম্পত্তির দুই পৃথক ক্লায়েন্ট বাত্রাকে জানিয়েছেন, তারা নিউইয়র্কের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে লেনদেন করতে চান। বাত্রার উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল সোমবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক ধনী ও বিলাসবহুল ক্রেতা একটু বেশি সতর্ক হয়ে উঠেছেন। মামদানি যত বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন, ততই তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেককে বলতে শোনা যাচ্ছে– ‘হায়, শহরটি কোথায় যাচ্ছে!’ ৩৩ বছর বয়সী গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক মামদানি গত জুনের শেষ দিকে নিউইয়র্কের মেয়র প্রাইমারিতে জয়লাভ করেন। এর পর থেকে বেশ কয়েকজন পেশাদার আবাসন ব্যবসায়ী সিএনএনকে জানান, উচ্চস্তরের ক্রেতারা তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ বন্ধ করতে শুরু করেছেন। মামদানির প্রস্তাবিত নীতিগুলোর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে অনিশ্চিত। তারা আরও বলেন, মামদানির জয়ের ফলে তাঁর রাজনীতির সঙ্গে একমত না হওয়া নিউইয়র্কের কিছু ধনী বাসিন্দা শহর ত্যাগের পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করেছেন। মামদানি ১০ লাখ ডলারের বেশি আয়কারী নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের ওপর ২ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন। তাঁর কাছে আবাসন প্রস্তাবের একটি তালিকাও আছে, যার মধ্যে রয়েছে– ভাড়া স্থির করার প্রতিশ্রুতি, ব্যাপক পাবলিক হাউজিং নির্মাণ ও সংস্কার এবং কঠোর তদারকি। মার্কিন গণমাধ্যমটি বলছে, মামদানি মেয়র হলেও তাঁর প্রস্তাবগুলো বাস্তবে পরিণত নাও হতে পারে। এর অনেক কারণ রয়েছে। তবুও তাঁর প্রাথমিক জয় বাত্রার কিছু ক্লায়েন্টকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। কেউই আসলে তাদের কর বাড়ুক, এমনটা চান না। নিউইয়র্ক সিটি বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল আবাসন বাজারের আবাসস্থল। এটি এমন একটি জায়গা, যেখানে ঝলমলে বিলাসবহুল টাওয়ারের লোকেরা শ্রমিক শ্রেণির বাসিন্দাদের পাশাপাশি বাস করেন। এ শ্রমজীবী শ্রেণির মানুষ ক্রমবর্ধমান ভাড়া ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে লড়াই করছেন। শহরের আবাসন খাতের অবস্থা চরম। নিউইয়র্ক শহরের আপার ইস্ট সাইড এলাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ যাচাই করে সিএনএন জানাতে পেরেছে, ওই এলাকার বাসিন্দারা বেনামে মামদানির প্রাথমিক জয়ের পর শহর ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু এখনও এসব গল্প কাল্পনিক। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক ফল পছন্দ না হলে স্থানান্তরিত হওয়ার হুমকি দেওয়ার একটি দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য রয়েছে। মামদানির আবাসন ও অর্থনৈতিক প্রস্তাবগুলো এমন এক সময়ে এসেছে, যখন নিউইয়র্কের ভাড়া ক্রমাগত বাড়ছে। রিয়েলেটর ডটকমের মতে, এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে শহরে গড় চাওয়া ভাড়া ছিল ৩ হাজার ৩৯৭ ডলার, যা এক বছরের আগের তুলনায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এটা ২০২০ সালের শুরু থেকে ১৮ শতাংশ বেশি। বাত্রা জানান, কিছু ক্লায়েন্ট যারা ভাড়া আয়ের জন্য ছোট অ্যাপার্টমেন্ট ভবন কেনার পরিকল্পনা করছিলেন, তারা এখন প্রস্তাবিত ভাড়া স্থগিত করার কারণে পুনর্বিবেচনা করছেন। নিউইয়র্কের এ পরিস্থিতির সুবিধা পেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রেরই ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য। সেখানে আবাসন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেকে জানিয়েছেন, নিউইয়র্ক ছেড়ে আবারও ফ্লোরিডায় আসতে পারেন অনেকে। এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ◈ মামদানির জয়ে নিউইয়র্কের আবাসন খাতে আতঙ্ক ◈ বিটকয়েনের ইতিহাসে রেকর্ড দাম

ডলার জোগাড়ে দিশেহারা আমদানিকারকরা

প্রকাশিত : ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ, ২১ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার ১৪৩ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

আসন্ন রমজানে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এলসি খুলতে নির্দেশনা দেওয়া হলেও ডলার সংকটে তা পারছে না বেশিরভাগ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে কিনতে চেয়েও মিলছে না। ডলার জোগাড়ে দিশেহারা আমদানিকারকরা ভোগ্যপণ্যের এলসির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিচ্ছেন।

জানা গেছে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যেন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় না নামে, সে জন্য চাইলেই ডলার দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। শুধু সার, জ্বালানি ও সরকারি খাদ্য আমদানিতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিক্রি করা হয়েছে ১০ কোটি ডলার। এ নিয়ে চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৫৩ কোটি ডলার। এভাবে ডলার বিক্রির ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। বৃহস্পতিবার রিজার্ভ নেমেছে ৩২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। গত বছর একই দিন যা ছিল ৪৫ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। বর্তমান রিজার্ভ থেকে রপ্তানি উন্নয়নসহ বিভিন্ন তহবিলে জোগান দেওয়া ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে থাকে ২৪ দশমিক ০৮ বিলিয়ন। ব্যবহারযোগ্য এ রিজার্ভ দিয়ে প্রায় সাড়ে তিন মাসের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলা ও নিষ্পত্তিতে ডলার সরবরাহের অনুরোধ জানিয়ে আমদানিকারকরা বারবার সরকারি দপ্তরে ধরনা দিচ্ছেন। গত বুধবারও কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় আমদানিকারক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সমস্যা সমাধানের দাবি জানান। এ পরিপ্রেক্ষিতে আবারও বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার সহায়তার অনুরোধ জানানো হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘আগে দুইবার চিঠি দেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু পদক্ষেপ নিলেও এখনও ভোগ্যপণ্য আমদানির এলসিতে সংকট রয়েই গেছে। এ অবস্থায় ভোগ্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহের অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি হলো, তারা শুধু সার ও জ্বালানি তেল আমদানির জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করবে। ভোগ্যপণ্য আমদানির জন্য ডলার সরবরাহ করবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। কিন্তু বাণিজ্যিক ব্যাংকে পর্যাপ্ত ডলার পাওয়া না গেলে রিজার্ভ থেকে যাতে সরবরাহ করা হয়, চিঠিতে সে অনুরোধ জানানো হবে।’

সংশ্নিষ্টরা জানান, বিশ্ববাজারে সব ধরনের পণ্যের দর বাড়লেও এলসি ব্যাপকভাবে কমেছে। অবশ্য আগের আমদানি দায় নিষ্পত্তির কারণে পরিশোধ বেড়েছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সামগ্রিকভাবে এলসি খোলা ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ কমে ৩ হাজার ৪১০ কোটি ডলারে নেমেছে। আর নিষ্পত্তি ৭ দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ১৩৭ কোটি ডলার।

এ সময়ে একমাত্র পেট্রোলিয়াম ছাড়া সব ধরনের পণ্যের এলসি কমেছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত পেট্রোলিয়ামের এলসি ৩৫ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়ে ৪৮৮ কোটি ডলারে ঠেকেছে। আর নিষ্পত্তি ৪৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫৩৬ কোটি ডলার। তবে ভোগ্যপণ্যের এলসি ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ কমে ৪০২ কোটি ডলারে নেমেছে। শিল্পের কাঁচামালের এলসি ২৭ দশমিক ২৭ শতাংশ কমে ১ হাজার ২০৩ কোটি ডলারে নেমেছে। মধ্যবর্তী পণ্যের এলসি ৩৩ দশমিক ১৮ শতাংশ কমে ২৫৯ কোটি ডলার হয়েছে। মূলধনি যন্ত্রপাতির এলসি ৬৫ দশমিক ৩২ শতাংশ কমে হয়েছে ১২৭ কোটি ডলার। অন্যান্য পণ্যের এলসি ২০ শতাংশ কমে নেমেছে ১ হাজার ১৪৩ কোটি ডলারে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘নতুন এলসি খোলা কমলেও আগের দায় নিষ্পত্তির কারণে চাপ কমছে না। আবার বিনিয়োগ ও চাহিদা বিবেচনায় আমদানি বেশিদিন কমিয়ে রাখা যাবে না। পরিস্থিতি উত্তরণে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে।’

সংশ্নিষ্টরা জানান, দেশে আসার পর মাশুল পরিশোধ করতে না পারায় অনেক ধরনের পণ্য খালাস আটকে রয়েছে। বড় উদ্বেগের বিষয় হলো বিলাসবহুল পণ্যের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি কমছে। সাধারণভাবে বিনিয়োগ বাড়ছে কিনা তা বোঝার বড় উপায় মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি। আর আগামীতে রপ্তানি কেমন হবে তা বোঝার অন্যতম মাধ্যম শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কেমন হচ্ছে, তা দেখা। এ ধরনের পণ্যের এলসি কমলে কর্মসংস্থানের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়ে। উচ্চ মূল্যস্ম্ফীতির এ সময়ে কর্মসংস্থান কমলে মানুষের ওপর চাপ আরও বাড়বে।

গত ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে ভোগ্যপণ্যের এলসি খুলতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এলসি খোলা কমার অন্যতম কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর তদারকি। ফলে ওভার ইনভয়েসিং তথা পণ্যের দর বেশি দেখিয়ে আমদানি বন্ধ হয়েছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT