শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
◈ মুজিববর্ষের নামে কত টাকা অপচয়, বের করা হবে : প্রেস সচিব ◈ শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই দেখছে ভারত ◈ যোদ্ধাদের প্রতিরোধ মানে ইসরায়েলের পরাজয় : খামেনি ◈ ৭ নভেম্বর হচ্ছে স্বাধীনতার পূর্ণাঙ্গ রূপ : রিজভী ◈ জাহাজ নির্মাণ শিল্প সম্ভাবনাময় ও প্রতিশ্রুতিশীল : নৌপরিবহন উপদেষ্টা ◈ ‘আইসিটিতে দায়েরকৃত ১২২টি অভিযোগের অধিকাংশই গুমসংক্রান্ত’ ◈ সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ ◈ যাদের জেলে থাকা উচিত তাদের অনেকে চাকরিতে বহাল : ফাহাম ◈ বিএনপি নেতার গুদামে সরকারি প্রণোদনার সার ◈ সংবাদমাধ্যমে আক্রমণ সহ্য করা হবে না : প্রেস সচিব

ডলারে অস্থিরতায় টাকার মান কমার আশঙ্কা

প্রকাশিত : ০৭:৩১ পূর্বাহ্ণ, ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ বুধবার ৯৭ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ায় বৈশ্বিক মন্দার নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশে আরও পড়বে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে ডলারের বাজারে অস্থিরতা থাকবে। এতে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাবে। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় চলতি হিসাবে ঘাটতিও বাড়বে। এসব কারণে মূল্যস্ফীতির হারে চাপ বাড়বে। এ চাপের কারণে এ হার নিয়ন্ত্রণে রাখা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি মন্দা মোকাবিলায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের ফলে বিনিয়োগ বাড়বে। এতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। একই সঙ্গে ডলারের সংকট কিছুটা কমে আসবে। আগের বছরের তুলনায় ডলারের দাম বৃদ্ধির প্রবণতাও কিছুটা কমবে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘বার্ষিক রিপোর্ট ২০২১-২২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতি নিয়ে এমন শঙ্কা ও সম্ভাবনার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। গত অর্থবছর শেষ হওয়ার সাড়ে ৬ মাস পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করল। আগে এটি অর্থবছর শেষ হওয়ার ৩ মাসের মধ্যেই প্রকাশ করা হতো। প্রতিবেদনে বিদায়ি বছরের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চলতি অর্থবছরের অর্থনীতি সম্পর্কে আগাম কিছু শঙ্কা ও সম্ভাবনার চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে। তবে গত অর্থবছর যেভাবে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে, সেভাবে চলতি অর্থবছরে কমবে না। ডলারের সংকটও আগের মতো প্রকট হবে না। কিছুটা কমে আসবে।

প্রতিবেদনে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য সতর্ক ও বিচক্ষণ আর্থিক ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণ কমিয়ে মুদ্রা বাজারের অন্যান্য উপকরণগুলো ব্যবহার করে ঋণ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। রাজস্ব আয় বাড়ানোর পাশাপাশি কিছু খাতে কৃচ্ছ সাধনের দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশা করছে চলতি অর্থবছরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি আগের বছরের তুলনায় বাড়বে। এর মধ্যে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ফলে দেশের দক্ষিণ পঞ্চিমাঞ্চলে বিনিয়োগের দুয়ার খুলবে। ওইসব অঞ্চলে বিনিয়োগ বাড়লে কর্মসংস্থানের গতি বাড়বে। এর মাধ্যমে দেশের রপ্তানি আয় ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি ফিরবে। তৈরি পোশাক রপ্তানির নতুন বাজার সন্ধান করতে হবে। অন্যান্য পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর দিকেও নজর দিতে হবে। এর মধ্যে জুতা, প্রকৌশল পণ্যেও বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এসব খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার দিকে নজর দিতে হবে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ মুদ্রানীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনার মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে বৈশ্বিক মন্দার ধাক্কা সামাল দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যমান সংকট মোকাবিলায় খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। যাতে আমদানির ওপর চাপ কমে যায়। একই সঙ্গে কমবে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির চাপও। কারণ খাদ্য আমদানি করলে আমদানিতে চাপ বেশি বাড়ে। একই সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করার ধারা অব্যাহত রাখার পক্ষে মত দেওয়া হয়। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক উৎপাদন খাতে ঋণের জোগান বাড়ানোর সুযোগ বাড়িয়েছে। যাতে রপ্তানি ও উৎপাদন খাত উপকৃত হয়। উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হলে মন্দা মোকাবিলা অনেকটা সহজ হবে। একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতির চাপও সহনীয় হবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মেগা প্রকল্পগুলো উৎপাদনে গেলে বিদ্যুতের আমদানির চাপ কমবে। এ খাতে ঘাটতিও কমবে। তখন শিল্প খাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জোগান সম্ভব হবে। যা অর্থনীতিকে স্তিতিশীল রাখতে ভূমিকা রাখবে। সাম্প্রতিক সময়ে শিল্পের যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি বাড়তে শুরু করেছে। যা আগামীতে শিল্প ও রপ্তানি খাতের চাকাকে সচল রাখবে।

বিদায়ি বছরে বৈদেশিক মুদ্রার আয়-ব্যয়ে বড় ঘাটতির কারণে চলতি হিসাবে ঘাটতি বেড়েছে। এতে দেশের রিজার্ভ কমেছে। যা ডলারের বিপরীতে টাকার মানকে অস্থিতিশীল করে তুলেছিল। এ প্রবণতা ধীরে ধীরে কমে আসবে। এতে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানো উৎসাহিত করতে চলতি বছরেও নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে বাড়ানো হবে তদারকি।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT