‘জিতুর বয়স ১৬ নয় ১৯’
প্রকাশিত : ০৫:৪৯ অপরাহ্ণ, ৩০ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার ১২০ বার পঠিত
ঢাকার আশুলিয়ায় শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যায় মামলার এজাহারে আসামি আশরাফুল ইসলাম জিতুর বয়স ১৬ বছর লেখা হলেও র্যা ব তার বয়স ১৯ বছর বলে জানাচ্ছে।
র্যা বের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলছেন, জিতুর জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডে যে জন্মতারিখ রয়েছে, তা এজাহারের সঙ্গে মিলছে না।
বৃহস্পতিবার ঢাকার কারওয়ানবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে Rab কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জিতুকে গ্রেফতারের পর তার কলেজ থেকে জুনিয়র দাখিল পরীক্ষার সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা হয়। সেখানে তার জন্মতারিখ রয়েছে ২০০৩ সালের ১৭ জানুয়ারি।
সে অনুযায়ী তার বয়স ১৯ বছর। কিন্তু মামলার এজাহারে লেখা ১৬ বছর।
শনিবার দুপুরে সাভারের আশুলিয়ায় হাজিউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে ওই স্কুলের শিক্ষক উৎপল সরকারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র জিতু। পরে চিকিৎসাধীন সোমবার ভোরে মারা যান উৎপল।
এ ঘটনার পর স্কুলশিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা হত্যাকারীকে গ্রেফতারের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে শামিল হন। মামলায় জিতুর বয়স ১৬ লেখার বিষয়টি নিয়েও তারা প্রশ্ন তোলেন।
আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের কম বয়সি অপরাধের বিচার হয় কিশোর আইনে। সেই সুবিধা পাইয়ে দিতে জিতুর বয়স কম দেখানো হয়েছে কিনা, সেই প্রশ্নও স্থানীয়রা তুলেছেন।
Rab কর্মকর্তা আল মঈন বলেন, তার শিক্ষাজীবনে বিভিন্ন সময় ব্রেক ছিল। প্রথমে তাকে স্কুলে ভর্তি করে পরিবার। দ্বিতীয় শ্রেণিতে তাকে জোর করে মাদ্রাসায় ভর্তি করানো হয়।
এর পর তাকে আবার স্কুলের নবম শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়। এ ছাড়া তার উচ্ছৃঙ্খল জীবন ও বেপরোয়া চলাফেরার কারণেও শিক্ষাজীবনে ছেদ পড়ে।
কমান্ডার মঈন বলেন, বয়স ১৯ নিশ্চিত হওয়ার পর Rab অপরাধী হিসেবে তার নাম প্রকাশ করেছে। এখন বিষয়টি নিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করবে। তবে আমরা কলেজের অধ্যক্ষের কাছ থেকে এই সার্টিফিকেট নিয়েছি।
বুধবার বিকালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নগরহাওলা গ্রামে এক বন্ধুর বাড়ি থেকে জিতুকে গ্রেফতার করে Rab। ভোর থেকে ওই বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে ছিল সে।
শিক্ষক উৎপল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ২০১৩ সালে আশুলিয়ার হাজি ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক পদে যোগ দেন। তিনি ওই কলেজের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের স্কুল ইউনিফর্ম, চুলকাটা, ধূমপান করা ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত বিষয়ে সোচ্ছার ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলাধুলা পরিচালনা করাসহ শিক্ষার্থীদের সুপরামর্শ, মোটিভেশন ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সৃজনশীলতা বিকাশে ভূমিকা রাখতেন।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।