বুধবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাপানে কেন মসনদ পান না রাজকুমারীরা

প্রকাশিত : ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ বুধবার ৫০ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

জাপানের প্রাচীন সমাজব্যবস্থা ছিল মাতৃতান্ত্রিক। এমনকি দেশটির সাম্রাজ্যের উৎসকে ঘিরে তৈরি পৌরাণিক কাহিনীগুলোতেও মাতৃতান্ত্রিক প্রভাবের উচ্চ মাত্রা লক্ষ করা যায়।

সপ্তম শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত শুধু নারীরাই নেতৃত্বে ছিলেন। তবে আগের সে নিয়ম আর নেই। রাজপরিবারের শুধু পুরুষ সদস্যরাই সম্রাট হতে পারবেন। এমনকি সিংহাসনের কোনো পুরুষ উত্তরাধিকারী না থাকলেও মসনদে বসার অনুমতি পায় না রাজকুমারীরা।

মূলত তাইকা সংস্কারের (৬৪৫ সাল) পর থেকে দেশটিতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাইকা হলো একটি জাপানি যুগের নাম যেখানে চীনের রাজনৈতিক দর্শনের ওপর ভিত্তি করে কনফুসিয়ান ধারণাকে গ্রহণ করা হয়েছিল। এই যুগে সম্রাজ্ঞী কোগয়েকুর রাজত্বের শেষের দিকে চীন থেকে একটি নতুন তাং রাজবংশ-শৈলীর সামাজিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল দেশটিতে।

একজন নারীকে সিংহাসনে আরোহণের বিরুদ্ধে প্রধান যুক্তিগুলোর মধ্যে একটি হলো সাম্রাজ্যের বংশের ক্ষয়। একজন রানি কোনো সাধারণ পুরুষকে বিয়ে করে সন্তান জন্ম দিলে বংশের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে না-এই যুক্তিতে নারীকে সিংহাসনে আরোহণের অনুমতি দেওয়া হয় না।

যদিও ক্রিসান্থেমাম (জাপানের মসনদ) সিংহাসনে আটজন নারী ইতোমধ্যে রাজত্ব করেছেন। তবে তাদের কেউই রাজত্বকালে বিবাহিত ছিলেন না। এমনকি তাদের সবাইকেই পরিচালনা করতেন একজন পুরুষ।

২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল সম্রাট আকিহিতোর পদত্যাগ এবং পরের দিন জাপানের ১২৬তম সম্রাট হিসেবে তার জ্যেষ্ঠপুত্র নারুহিতোর সিংহাসনে বসার পর থেকে দেশটিতে চলমান সাম্রাজ্য ব্যবস্থা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে পুনরায় বিতর্ক চালু হয়। পুরুষ উত্তরাধিকারীর ঘাটতি হলে সিংহাসনে কে উত্তরাধিকারী হবেন সেই প্রশ্নটি আবারও সামনে আসে।

২০২১ সালে উত্তরাধিকারের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি সরকারি প্যানেলও তৈরি করা হয়। সেই প্যানেলেও দেশের রাজকীয় সিংহাসন পুরুষ উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, জাপানের সংবিধানে সম্রাটের কোনো রাজনৈতিক ভূমিকা না থাকলেও এর একটি প্রতীকী ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য রয়েছে। এছাড়া এই রাজপরিবারের সদস্যদের সম্রাট সূর্যদেবী আমাতেরাসুর সরাসরি বংশধর বলে মনে করা হয়। বর্তমানে সম্রাট পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যই নারী। এর পরও রাজকুমারীদের মসনদে বসার অনুমতি না দিয়ে পরিবারের দূরবর্তী শাখা থেকে পুরুষদের রাজপরিবারের সদস্যের অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে কথা বলছেন অনেকে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT