রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫, ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর কত হাজার বোমা ফেলেছে ইসরাইল?

প্রকাশিত : ০৮:০৩ পূর্বাহ্ণ, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার ২৩ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি স্বীকার করেছে যে, গাজা উপত্যকায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো আগ্রাসনের সময় ইসরাইলকে হাজার হাজার এমকে ৮৪ ট্রেঞ্চ-ব্রেকিং (বাঙ্কার-বিধ্বংসী) বোমা সরবরাহ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

বোস্টন আমেরিকান ইনস্টিটিউট নামের ওই প্রতিষ্ঠান এক প্রতিবেদনে ঘোষণা করেছে, গাজায় অসহায় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্যার জন্য বাইডেন প্রশাসন ইসরাইলকে ১৪,১০০টি এমকে-৮৪ ট্রেঞ্চ-ব্রেকিং বোমা সরবরাহ করার পাশাপাশি ৫৭,০০০টি ১৫৫ মিমি আর্টিলারি শেল, ২০,০০০ এম৪এ১ রাইফেল এবং ১৩,৯৮১টি বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে।

মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সম্প্রতি ইসরাইলকে ১,৮০০টি ২,০০০ পাউন্ড ওজনের বোমা পাঠাতে সম্মত হয়েছেন। যে চালানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন।

গত শনিবার তিনজন ইসরাইলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে অ্যাক্সিওস ওয়েবসাইট জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস মার্কিন সামরিক বাহিনীকে ইসরাইলকে ২,০০০ পাউন্ড ওজনের ভারি বোমা সরবরাহের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, যা জো বাইডেন প্রশাসন কর্তৃক আরোপ করা হয়েছিল।

গত মে মাসে দুই হাজার পাউন্ড বোমার এই চালান বন্ধ করে দেন বাইডেন। তার এই সিদ্ধান্ত দীর্ঘ ১৫ মাসের গাজা যুদ্ধের সময় মার্কিন-ইসরাইলি সম্পর্কের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকটের সৃষ্টি করে।

বর্তমান মার্কিন সরকার ইহুদিবাদী ইসরাইল ও মিশর ছাড়া বিদেশে তাদের সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেছে। গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই ৯০ দিনের জন্য বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন ট্রাম্প।

সম্প্রতি ফাঁস হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে বলে গত ২৫ জানুয়ারি বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, নথিটি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা ও বিদেশি দূতাবাসগুলোতে পাঠানো হয়েছে।

ফাঁস হওয়া ওই নথিতে বলা হয়েছে, ‘প্রতিটি নতুন ও বিদ্যমান সহায়তা সম্প্রসারণের প্রস্তাব পরিপূর্ণভাবে পর্যালোচনা ও অনুমোদনের আগ পর্যন্ত এগুলোর অধীন বাধ্যতামূলকভাবে অর্থ বরাদ্দ করা যাবে না।’

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই নথিতে উল্লেখিত নির্দেশনার আওতার বাইরে থাকবে ইসরাইল ও মিশরে দেওয়া সামরিক সহায়তা।

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই মূলত ইসরাইলে অস্ত্র সহায়তা বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইলি সরকার প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ৩.৩ বিলিয়ন ডলার সামরিক তহবিল পেয়ে আসছে।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT