মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরে হামলায় ইউক্রেনকে সহযোগিতা করেছে পশ্চিমারা: রাশিয়া

প্রকাশিত : ০৯:৩৯ অপরাহ্ণ, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার ১৩ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

মস্কো অভিযোগ করেছে, ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরের সদর দফতরে হামলায় ইউক্রেনকে সহযোগিতা করেছে কিয়েভের পশ্চিমা মিত্ররা। বুধবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নারী মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, পশ্চিমাদের গোয়ন্দা তথ্য, ন্যাটোভুক্ত দেশের উপগ্রহ ও গোয়েন্দা বিমান নৌবহরের সদর দফতরে হামলায় কাজে লাগানো হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

মারিয়া জাখারোভা এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, কোনও সন্দেহ নেই অত্যাধুনিক পশ্চিমা গোয়েন্দা ব্যবস্থা, ন্যাটোর উপগ্রহ ও গোয়েন্দা ব্যবহার করে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর বাস্তবায়ন করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার পরামর্শ ও তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেছেন, এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর ব্যর্থ পাল্টা আক্রমণের ওপর থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়া, মানুষকে ভয় দেখানো এবং সমাজে আতঙ্ক ছড়ানো।

মস্কো বারবার দাবি করে আসছে, কিয়েভকে অস্ত্র ও গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করে এবং রুশ স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনায় ইউক্রেনীয় সেনাদের সহযোগিতা করে ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো মিত্ররা।

সত্যতা নিশ্চিত হওয়া খবরে দাবি করা হয়েছে, হামলায় স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনকে সরবরাহ করেছে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।

জাখারোভার সমালোচনার আগে রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের উপ-প্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ মঙ্গলবার বলেছিলেন, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র আব্রামস ট্যাংক পাঠিয়ে ও অজ্ঞাত সংখ্যক দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ন্যাটোকে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার কাছাকাছি নিয়ে আসছে।

সোমবার ইউক্রেনের স্পেশাল ফোর্স তাদের টেলিগ্রামে দাবি করেছিল, রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরের সদর দফতরে শুক্রবার চালানো হামলায় ৩৪ রুশ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন নৌবহরের কমান্ডার ভিক্টর সোকোলভ। হামলায় আরও ১০৫ জন আহত হয়েছেন। তবে রাশিয়া দুটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যাতে সোকোলভকে দেখা গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। এর ফলে ইউক্রেনের এই দাবির সত্যতা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

২০১৪ সালে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ক্রিমিয়া দখল করে মস্কো। এই দখলকে স্বীকৃতি দেয়নি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এখানে রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরীয় নৌবহর মোতায়েন রয়েছে। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে ক্রিমিয়াকে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ রসদ ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। রুশদের দখল থেকে ভূখণ্ডটি পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



এই বিভাগের জনপ্রিয়

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।     বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।  নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।  নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন।  তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।   এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

ইরানি বংশোদ্ভূত দুই ব্রিটিশ নাগরিককে দীর্ঘদিন বন্দি রাখার পর মুক্তি দিয়েছে তেহরান। ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে যুক্তরাজ্য ৪০ কোটি পাউন্ড ইরানের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুক্তির পর নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরি যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। নাজানিন জাঘারি প্রায় ছয় বছর ধরে ইরানে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। নাজানিন জাঘারি ও আনোশেহ আশোরিকে বহনকারী প্লেন অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রিজ নর্টন ব্রিটিশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এর আগে তারা ওমানে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি নেন। তারা একসঙ্গেই প্লেন থেকে নেমে আসেন এবং বিমানবন্দরে প্রবেশের পর পর উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে হাত নাড়েন। এদিকে মার্কিন নাগরিকত্ব থাকা মোরাদ তাহবেজ নামে আরও একজনকেও কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ত্রাস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে ইরানের কাছে ইসলামি বিপ্লবের আগে অর্থাৎ প্রায় ৪৩ বছর আগের দেনা হিসেবে ব্রিটিশ সরকার তেহরানকে ৪০ কোটি পাউন্ড (৫২০ মিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমি খুব খুশি, নাজানিন জাঘারি এবং আনোশেহ আশোরিকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখার দিন শেষ হয়েছে। তারা মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরেছে।

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT