বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

করমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে না, রিটার্ন জমায় সুখবর

প্রকাশিত : ০৮:৩০ পূর্বাহ্ণ, ৮ জুন ২০২২ বুধবার ৯১ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

আসন্ন বাজেটে করমুক্ত ন্যূনতম আয়ের সীমা তিন লাখ টাকাই থাকছে। দেশের ব্যবসায়ী ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো করদাতাদের স্বস্তি দিতে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর সুপারিশ করলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধির প্রস্তাব থাকছে না।

সর্বশেষ ২০২০ সালের বাজেট ঘোষণার সময় করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা হয়।

এখন দেশে ৭৫ লাখেরও বেশি কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএনধারী) আছেন। এরমধ্যে ২৫ লাখের মতো ব্যক্তি প্রতিবছর আয়কর রিটার্ন জমা দেন।

যদিও সব টিআইএনধারীর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক, তবে যারা জমা দেন না, তাদের জন্য আগামী বাজেটে একটি সুযোগ দেওয়া হতে পারে। ঘোষণা আসতে পারে—যারা আগে রিটার্ন দেননি, তাদের বিরুদ্ধে এবার কোনও জরিমানা বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

এদিকে আগামী অর্থবছরেও শেয়ারবাজারে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত থাকতে পারে।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের ডেটা সেবা কেনার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) আরও ৫ শতাংশ বাড়তে পারে। সিমেন্ট, সিরামিকস, বেভারেজ, ভোজ্যতেলসহ আমদানিনির্ভর কিছু উৎপাদন শিল্পের ওপর আগাম কর কমানো বা প্রত্যাহার করা হতে পারে।

রফতানিকারকদের উৎসে কর বাড়িয়ে ১ শতাংশ করা হতে পারে। বর্তমানে তৈরি পোশাক খাতের রফতানিকারকদের দশমিক ৫০ শতাংশ হারে উৎসে কর দিতে হয়। অর্থাৎ ১০০ টাকার রফতানি করলে ৫০ পয়সা উৎসে কর কেটে রাখেন কর কর্মকর্তারা। পরে অবশ্য ওই প্রতিষ্ঠান তাদের বার্ষিক করপোরেট করের সঙ্গে তা সমন্বয় করতে পারে।

এদিকে, করপোরেট করহার কমানোর ঘোষণাও আসতে পারে।

অন্যদিকে, বিদেশে সম্পদ বা ঋণ থাকলেও তা আগামী অর্থবছর থেকে আয়কর রিটার্নে দেখাতে হবে। অর্থপাচার রোধে ও ধনীদের কাছ থেকে কর আদায় বাড়াতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এখন বছরে ৪০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ বা ব্যক্তিগত গাড়ি বা সিটি করপোরেশন এলাকায় বাড়ি-ফ্ল্যাট থাকলে এনবিআরের নির্ধারিত ফরমে নিজের, স্বামী/স্ত্রী, সন্তান এবং পোষ্যদের সব ধরনের সম্পদের বিবরণী দাখিলের বিধান রয়েছে। এছাড়া, বছরে ৪ লাখ টাকার বেশি আয় থাকলে জীবনযাত্রার ব্যয় বিবরণীও দাখিল করতে হয়। এক্ষেত্রে দেশে থাকা সম্পদের বিবরণী দাখিল প্রযোজ্য। আগামী বাজেটে বিদেশে সম্পদ বা দায় থাকলে সে বিবরণীও দাখিল করতে হবে।

অবশ্য রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা থেকে কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ক্রেডিট কার্ড, এমপিওভুক্ত স্কুল, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ফান্ড, স্থায়ী স্থাপনা ও নির্ধারিত আয় নেই অথচ জমি বিক্রয়ের জন্য টিআইএন নিয়েছেন তাদের রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। আগামী বাজেটে এর আওতাও বাড়ছে। স্বীকৃত প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন ফান্ড, অনুমোদিত গ্রাচ্যুইটি ফান্ড, অনুমোদিত সুপার অ্যানুয়েশন ফান্ড ও ওয়ার্কার্স পার্টিসিপেশন ফান্ডকে রিটার্ন জমা দিতে হবে না।

রাজস্ব আদায় বাড়াতে এনবিআর কোম্পানিগুলোর ব্যাংক-সুদ আয়ে নজর দিয়েছে। ব্যাংকে নগদ জমার বিপরীতে কোম্পানি করদাতারা যে সুদ পান, আগামী অর্থবছর থেকে সেটার আয়ের ওপর দ্বিগুণ হারে উৎসে কর কাটা হবে। বর্তমানে ওই সুদের ওপর ১০ শতাংশ উৎসে কর আদায় করা হয়।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।



© ২০২৩ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT