বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
◈ ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি ◈ একুশেই মিলবে স্টার্টআপ ঋণ, সুদ হার মাত্র ৪ শতাংশ ◈ আলিম ও কারিগরি এইচএসসির সারাদেশের পরীক্ষা স্থগিত ◈ কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের কালকের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত ◈ গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তকারীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র ◈ ট্রাম্পের সমালোচনার পর ইউক্রেনে রাশিয়ার রেকর্ড সংখ্যক ড্রোন হামলা ◈ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ◈ নিহতের ফোনের ভিডিওতে মিলল ৫ আগষ্ট হত্যাকাণ্ডের চিত্র ◈ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে দুর্ঘটনায় চীনা প্রকৌশলী নিহত ◈ ফেনীতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত, নেই বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক

কমেছে মাস্কের ব্যবহার, কমেছে ইমন-সাথীর আয়ও

প্রকাশিত : ০৬:০৮ অপরাহ্ণ, ২৪ জুন ২০২২ শুক্রবার ১৯৬ বার পঠিত

অনলাইন নিউজ ডেক্স :

২০২০ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। মিডিয়ার খবর, সরকারি নির্দেশনা ও নিজস্ব সচেতনতা থেকে তখন থেকেই মুখে মাস্ক ব্যবহার করা শুরু করেন সাধারণ মানুষ।

ওই সময় একেকটি সাধারণ মাস্ক ৩০-৫০ টাকা দিয়ে কিনেও ব্যবহার করতে দেখা যায় তাদের। চাহিদা বেশি থাকায় পাইকারি ও খুচরা মাস্ক ব্যবসায়ীরা সবাই বেশ ভালো অংকের অর্থ লাভ করতে সমর্থ হন।

তবে দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সচেতনতা, করোনার প্রাদুভার্ব এবং সংক্রমণ সবই কমে যাওয়ায় কমে গেছে মাস্কের ব্যবহার। ফলে কমে গেছে মাস্ক বিক্রেতাদের আয়ও। এখন যাত্রীবাহী বাস বা দোকানে ৫-৭টি সার্জিক্যাল মাস্ক মাত্র ১০ টাকায় পাওয়া যায়৷ কিন্তু তবুও ক্রেতা পাওয়া যায় না।

একটু লাভ হওয়ায় বাবা-মাকে সাহায্য করতে যমুনা ফিউচার পার্ক সংলগ্ন ওভার ব্রিজে মাস্ক বিক্রি শুরু করে দুই শিশু ও ভাইবোন ৯ বছর বয়সী ইমন ও ১০ বছর বয়সী সাথী।

এই স্থানটি দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ তাদের প্রায় সময়ই ব্রিজটিতে মাস্ক বিক্রি করতে দেখেন। কিন্তু মাস্কের ব্যবহার কমে যাওয়ায় এখন তাদের বিক্রি এবং আয় দুটোই অনেক কমে গেছে৷

শিশু সাথী বলেছে, কয়েক দিন আগে তারা দিনে ৫০০-৬০০ টাকার মাস্ক বিক্রি করতে পারলেও সেটি কমে এসেছে। বর্তমানে তারা ২০০-৩০০ টাকার মাস্ক বিক্রি করতে পারে। ওই ওভার ব্রিজে মাস্ক বিক্রি করা আরেকটি শিশু জানায়, তার আয়ও কমে গেছে।

ইমন ও সাথীর মা ফুটপাতে চা ও সিগারেট বিক্রি করেন। তিনি জানান, পরিবারের বাড়তি কিছু আয়ের জন্য নিজের দুই ছেলেমেয়েকে মাস্ক কিনে দিয়েছিলেন তিনি। তাদের বাবা লিভারজনিত রোগের কারণে অসুস্থ হওয়ার পর কোনো কাজ করতে পারতেন না। ফলে দুই ছেলে ও মেয়েকে মাস্ক বিক্রি করতে দেন।

করোনার শুরু থেকেই তারা দুইজন মাস্ক বিক্রি শুরু করে। ওই সময় দিনে ২৫০০-২৬০০ টাকার মাস্কও বিক্রি করতে পারত তারা। ওই টাকা দিয়ে শিশুদের বাবার চিকিৎসাও করিয়েছেন তিনি।

তবে এখন আয় নেই বললেই চলে। ইমন ও সাথী মাস্ক বিক্রির কারণে স্কুলে যায় না বা কোথাও পড়ালেখাও করে না বলে জানান তাদের মা।

শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। anusandhan24.com | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বে-আইনি, Design and Developed by- DONET IT