কদমতলী ভাবিকে হত্যা, অস্ত্র মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
প্রকাশিত : ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ, ১৯ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার ১৩৮ বার পঠিত
কদমতলী ভাবি পাখি আক্তার আঁখিকে (৩৫) পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামাল হোসেন ওরফে টিকটিকি কামালকে (৪২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার কুমিল্লা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে গাড়িতে থাকা শামীম নামে অপর একজনকেও আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া কামাল হোসেন ২০০৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর বিদেশি পিস্তল ও রিভলবারসহ সায়েদাবাদে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিল। এ ছাড়া ২০০৯ সালের ১৭ জুন শ্যামপুরের কবির নামের অপর ব্যক্তিকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি এই কামাল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১২ জুলাই রাত আনুমানিক ১১টার দিকে কামাল হোসেনের ভাতিজা সাজ্জাদ ও সাব্বির লিজার্ড কয়েল ফ্যাক্টরির অফিসে গেলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কামাল হোসেন ও তার ভাই আলতাফ হোসেন বন্ধু স্বপন, ভুলু, রিপনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জন তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে বেদম পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এ সময় সাজ্জাদের মা পাখি আক্তার আঁখি এগিয়ে গেলে তাকেও লোহার রড দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরে পাখি আক্তার আখি, সাজ্জাদ ও সাব্বিরকে ওই দিন রাতে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক পাখিকে শ্যামলী হেলথ কেয়ার হাসপাতালে রেফার করেন। ৫ দিন চিকিৎসার পর ১৬ জুলাই রাতে পাখি আক্তার মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মনির হোসেন বাদী হয়ে কামাল হোসেনকে প্রধান ও তার ভাই আলতাফ হোসেন এবং তাদের সাঙ্গপাঙ্গ স্বপন, ভুলু, রিপনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে ১৩ জুলাই কদমতলী থানায় মামলা করেন।
মামলার ৬ দিন পর সোমবার প্রধান আসামি কামাল হোসেনকে ওরফে টিকটিকি কামালকে গ্রেফতার করে কদমতলী থানা পুলিশ। এর আগে শনিবার ১৬ জুলাই ২নং আসামি আলতাফকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার প্রধান আসামি কামাল হোসেন একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। শ্যামপুরের সন্ত্রাসী কবির হত্যা ও সায়েদাবাদে র্যাবের হাতে ধৃত অস্ত্র মামলার সাজাপ্রাপ্ত প্রধান আসামি।
কদমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রলয় কুমার সাহা বলেন, জুরাইন মেডিকেল রোড এলাকার মৃত শাহাজান মিয়ার লিজার্ড কয়েল ফ্যাক্টরি নিয়ে দীর্ঘদিন তাদের বিবাদ চলছিল। ১২ জুলাই তাদের মধ্যে মারামারি সংঘটিত হয়। এ সময় কামাল হোসেন এর ভাবি মাথায় আঘাত পেয়ে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে সেখান থেকে শ্যামলী বেসরকারি হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৫ দিন চিকিৎসার পর ১৬ জুলাই শনিবার রাতে পাখি আক্তার মারা যায়। এ ঘটনায় কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি কামাল হোসেন ও তার ভাই আলতাফ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।