ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র প্রতিহতের ঘোষণা
প্রকাশিত : ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ, ১২ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার ৭৮ বার পঠিত
বিএনপির গণ-অবস্থান কর্মসূচির দিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ‘সতর্ক পাহারা’য় ছিল আওয়ামী লীগ। আন্দোলনের নামে বিএনপিসহ সরকারবিরোধীরা সহিংসতা করলে তা প্রতিরোধে বুধবার রাজধানীর অন্তত পাঁচটি এলাকায় সমাবেশ করেছেন ক্ষমতাসীন দল ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। মিরপুরের শাহ আলী মাজারের পাশে সমাবেশ করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে এই দুই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এছাড়া এদিন কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমাবেশ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ সমাবেশ করে রাজধানীর ফার্মগেটে। আর রাজধানীর শাহবাগে সমাবেশ করছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এছাড়া থানা-ওয়ার্ডে এবং পাড়া-মহল্লায় মিছিল-সমাবেশসহ শোডাউন করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। এসব কর্মসূচি থেকে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, মহিলা যুবলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হন। বেলা সাড়ে ১১টায় সেখানে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। থানা-ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন নেতাকর্মীরা। সমাবেশকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় বাংলাদেশ কৃষক লীগ। সভাপতি সমীর চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতির নেতৃত্বে সংগঠনের কেন্দ্রীয়, মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা এতে অংশগ্রহণ করেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদের নেতৃত্বে সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অবস্থান ছিল সংগঠনটির নেতাকর্মীদের।
এদিকে বিকালে মিরপুর শাহ আলী ঈদগাহ মাঠে সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি উত্তরের নির্বাহী কমিটির সদস্য, সব থানা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও ইউনিট নেতারা এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে নেতাকর্মীদের নিয়ে উপস্থিত হন। দুপুর আড়াইটার মধ্যে সমাবেশ মাঠ নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় ভরে যায়। পরে সমাবেশে আসা লোকজনদের অনেকেই রাস্তায় অবস্থান নেন। এতে চিড়িয়াখানা সড়কসহ ওই এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়।
এই অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি।
এদিকে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সতর্কাবস্থানে ছিলেন। দুপুরে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের আয়োজনে রাজধানীর ফার্মগেটে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন-আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, নবী নেওয়াজ, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক এমপি, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মোয়াজ্জেম হোসেন, মৃণাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, জসিম মাতুব্বর, আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, সাইফুর রহমান সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন-ঢাকা উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচএম রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
সমাবেশে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা সরকার পতনের ডাক দিয়ে তাদের নেতাকর্মীদের বারবার বিভ্রান্ত করছেন। কিন্তু সরকার পতন এত সহজ নয়, কারণ এই সরকার জনগণের সরকার।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ওরা (বিএনপি) খুনি। তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।
বিএনপি-জামায়াতকে হুঁশিয়ারি করে শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আপনারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করবেন সেটা আমরা সহ্য করব না। ৭৫-এর পরবর্তী স্বপ্ন ভুলে যান, ২০০১-এর স্বপ্ন ভুলে যান। সেসব দিন চলে গেছে।
এদিকে গণ-অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করে গণমিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। পরে ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজের অবস্থান কর্মসূচি ব্যানারে কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে শাহবাগে সতর্কাবস্থান নেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, মহিলা ইডেন কলেজ, মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগ জানায়, তাদের এ অবস্থান কর্মসূচি বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।