এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আবারও মহামারী
প্রকাশিত : ০৫:২৬ পূর্বাহ্ণ, ২৩ জুলাই ২০২২ শনিবার ১০৩ বার পঠিত
এ যেন রূপকথার কোন যুদ্ধের ময়দান। রাজধানীতে ড্রোন উড়িয়ে খোঁজা হচ্ছে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশা। নিয়ন্ত্রণের নানা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এমন বুলি প্রতিদিনই আওড়াচ্ছে ঢাকার দুই সিটির কর্তাব্যক্তিরা। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না ডেঙ্গুর সংক্রমণ। রাজধানীসহ সারাদেশে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
ডেঙ্গুর এই উর্ধমুখী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এখনই ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে ২০১৯ সালের মতো আবারও মহামারীর আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ৩৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৭৬ জন ভর্তি রয়েছে, যাদের অধিকাংশই ঢাকার বাসিন্দা। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ৩৪ জনই ঢাকার বাসিন্দা। এ সময়ে ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। নতুন ৩৫ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭৬ জনে।
তাদের মধ্যে ২১৫ জনই ঢাকার বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আর ঢাকার বাইরে রয়েছেন সর্বমোট ৬১ জন রোগী। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে পর্যন্ত হাসপাতালে সর্বমোট রোগী ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ১৪ জন। এর মধ্যে ঢাকায় এক হাজার ৭১৫ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় সর্বমোট রোগী ভর্তি হয়েছে ২৯৯ জন।
এই হিসাবের বাইরেও রয়েছে আক্রান্তদের মধ্য থেকে সুস্থ হওয়াদের সংখ্যা। অধিদফতর বলছে, বছরের শুরু থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন এক হাজার ৭৩৩ জন। শুধু ঢাকা মোট সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৪৯৮ জন। এবং ঢাকার বাইরে ছাড়প্রাপ্ত রোগী আছেন ২৩৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। সব মিলিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকে শুধু মাত্র মশার কামড়ের প্রভাবে ডেঙ্গুতে ভুগেছেন ৩ হাজার ৫১৭ জন মানুষ। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আসন্ন আগস্ট মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মহামারী আকার ধারণ করার আশঙ্কা করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, এডিস মশার প্রজননস্থল যেভাবেই হোক চিহ্নিত করে তা ধ্বংস করতে হবে। না হলে এভাবেই প্রতিদিনই বাড়তে থাকবে আক্রান্তের সংখ্যা।
তবে এই এডিস মশা নিধনে দুই সিটির পক্ষ থেকে যথেষ্ট তৎপরতা চোখে পড়লেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। স্বাস্থ্য অধিদফতরের বর্ষাপূর্ব জরিপ (প্রি-মনসুন সার্ভে) অনুযায়ী দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩৮, ৪০ ও ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড উচ্চ এবং ১৩, ১৫, ২১ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডকে মধ্যম মাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৯৮টি ওয়ার্ডের ১১০টি স্থানে প্রাক-মৌসুম এডিস মশার ঘনত্বের জরিপ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। এই জরিপে চলতি বছরের প্রাক-মৌসুম জরিপে ঢাকা শহরের ৪.৫৩ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার ঘনত্ব পাওয়া গেছে।
তবে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ওয়ার্ডগুলো। অভিজাত এলাকাগুলোর বেশিরভাগ বাসা-বাড়িতেই ছাদ বাগানের মাধ্যমে এডিসের প্রজনন প্রতিদিনই বাড়ছে। এমনকি এই সিটিতে মশার উৎসস্থল খুঁজতে ড্রোন ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। যার ব্যবহার ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। চলতি মাসের শুরুতে ডিএনসিসি অঞ্চল-১, অঞ্চল-৩ ও অঞ্চল-৫ এ ড্রোনের সাহায্যে বিভিন্ন বাসাবাড়ির ছাদ, ছাদ বাগান, ছাদে জমা পানি, চৌবাচ্চা এবং বৃষ্টির পানি বা পরিষ্কার পানি জমতে পারে এ ধরনের একটি জরিপ পরিচালনা করে। দশ দিনব্যাপী ড্রোনের মাধ্যমে চিরুনি অভিযানে অঞ্চল-১ এর আওতাধীন উত্তরা সেক্টর-৪ এলাকায় মোট ৩২২টি বাড়িতে ড্রোন সার্ভে করা হয়। ১৮টি ছাদ বাগান সার্ভে করে ৫টিতে জমা পানি পাওয়া যায় এবং একটি বাড়ির ছাদে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। কিন্তু সেসব বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বরং সাবধান করে দেয়া হয়েছে। একইভাবে অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন এলাকায় ২৯১টি বাড়িতে ড্রোন সার্ভে করা হয়। ২৫টি ছাদ বাগান সার্ভে করে তিনটিতে জমা পানি পাওয়া যায়।
লার্ভা পাওয়া না গেলেও এডিসের ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে এসব বাড়িকে চিহ্নিত করা হয়। এ ছাড়া অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন লালমাটিয়া এলাকায় ২৬৭টি বাড়িতে ড্রোন সার্ভে করা হয়। ১২টি ছাদ বাগান সার্ভে করে ৪টিতে জমা পানি পাওয়া গেলেও সেগুলোতে মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। ওই জরিপের প্রেক্ষিতে ডিএনসিসির প্রায় সবগুলো ওয়ার্ডেই এখন পর্যন্ত অভিযান চালু রয়েছে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে।
এতসব ব্যবস্থার পরও কেন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নির্মূলে ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোয় আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে। আমরা তথ্য পেয়েছি গত বছরের চেয়ে এবার ডেঙ্গু আরও বেশি ভয়ঙ্কর হতে পারে। আমার কথা হলো, আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করব। যা যা করা দরকার আমার কাউন্সিলদের নিয়ে, সিটি কর্পোরেশনের সবাইকে নিয়ে তা করব। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে গিয়ে ক্যাম্পেন করা করব। কিন্তু তারপরও যদি জনসচেতনতা তৈরি না হয় তাহলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আইন অনুযায়ী নিয়মিত মামলা হবে। গতবার আমরা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করেছি। এবারও সেটি হবে, জেলও হবে। কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এরিয়ার সব ওয়ার্ডে আমাদের নিয়মিত চিরুনি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এই অভিযান শেষে আমি নিজেই আবার অভিযানে নামব। তখন যদি কেউ অনুরোধ করেন জরিমানা না করার জন্য, তা শোনা হবে না।
এ শহরের নিরাপত্তার জন্য আমাকে কঠোর হতেই হবে। তিনি বলেন ‘এডিস মশার জন্ম হয় স্বচ্ছ পানিতে, টায়ারে, ফুলের টবে। তাই আমি অনুরোধ করছি ‘তিন দিনে এক দিন, জমা পানি ফেলে দিন’। আসুন আমরা সবাই সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন করি। নিজের জীবনের দায়িত্ব আমাদের নিজেদেরই নিতে হবে। তাই আমরা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আগে আমাদের বাসাবাড়ি পরিষ্কার করে নেব। মশার বংশবৃদ্ধিতে যারাই ভূমিকা রাখবে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে আতিক বলেন, সরকারী হোক, বেসরকারী হোক কিংবা আধা সরকারী হোক এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জরিমানা করা হবে।
প্রায় একই রকম কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, বর্ষাকালে এডিস মশার বংশ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ডেঙ্গু সংক্রমণও বাড়ে। সেজন্য বর্ষা মৌসুম পুরোপুরি শুরু হওয়ার আগেই স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আমাদের যে সাতটি ওয়ার্ডকে উচ্চ ও মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেসব ওয়ার্ডে মশক নিয়ন্ত্রণ ও নিধন কার্যক্রমে আরও বেশি জোর দেয়া হয়েছে। তদারকি বাড়ানো হয়েছে। চালানো হয়েছে চিরুনি অভিযানও। তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। তাছাড়া এডিস মশার প্রজননস্থল শুধু বাড়ির চারপাশ ও আঙিনায় নয়, বাড়ির অভ্যন্তরেও সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য জনসচেতনতার বিকল্প নেই। তাই এডিস মশার সংক্রমণ রোধ করতে হলে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে, তাদেরও সচেতন করতে হবে।
কিন্তু দুই সিটির এসব কথাকে ফাঁকাবুলি হিসেবেই দেখছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ লেনিন চৌধুরী। তিনি বলেন, শ্রাবণ মাস ভরা বর্ষার সময় হলেও এখন বৃষ্টিপাত কম। তবুও ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ছে। এখন যদি আবার বৃষ্টিপাত শুরু হয় তাহলে তো পানি জমে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কা রয়েছেই। কিন্তু দুই সিটি যদি এই শুকনো সময়ে এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করার জন্য ২ থেকে ৩ দিনের কোন ক্রাশ প্রোগ্রাম করতে পারত। মশা নিধনে তারা ড্রোন ব্যবহার করছে, কামান ব্যবহার করছে। কিন্তু আপনারা খেয়াল করে থাকবেন কোন এলাকাতেই নিয়মিত মশা নিধনের ওষুধ ছিটানো হচ্ছে না। ফলে এডিস মশা প্রজননের সুযোগটা পাচ্ছে। তাই আমি মনে করি এসব চিরুনি অভিযানের নামে তামাশা না করে দুই সিটি সমন্বয় করে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এডিস মশা ধ্বংসে একযোগে কাজ করুক। পাশাপাশি জনগণকে সম্পৃক্ত করুন।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের মহাপরিকল্পনায় সমন্বিত মশক ব্যবস্থাপনা বা ইন্টিগ্রেটেড মসকিউটো ম্যানেজমেন্ট বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক. কবিরুল বাশার নিজের এক প্রতিবেদনে বলেন, সমন্বিত মশক ব্যবস্থাপনার চারটি মূল পিলারকে একসঙ্গে সারাবছর বাস্তবায়ন করতে পারলেই এডিস মশা বাহিত রোগ যেমন ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া ও জিকাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া মশা নিয়ন্ত্রণে সফল হওয়া দুষ্কর। তাই এ প্রক্রিয়ায় জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। বিশেষ করে সামাজিক সংগঠনগুলোকে উদ্বুদ্ধ করে একাজ করানো যেতে পারে।
ডেঙ্গু এডিস মশা বাহিত একটি ভাইরাস ঘটিত জ্বর রোগ উল্লেখ করে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি স্ট্রেইন (ডেন-১, ২, ৩ ও ডেন-৪) এর যে কোন একটি দিয়ে ডেঙ্গু জ্বর হতে পারে। আর এই ভাইরাস বহন করে এডিস প্রজাতির মশা। এডিস মশার দুটি প্রজাতি ঢাকা শহরে দেখা যায়, তার মধ্যে একটি হলো এডিস ইজিপ্টি আরেকটি হলো এডিস এ্যালবোপিকটাস। এডিস ইজিপ্টিকে নগরের মশা বা গৃহপালিত মশা বলা হয়ে থাকে। এ মশা নগরীর বাড়ি এবং বাড়ির আশপাশে বিভিন্ন পাত্রে জমে থাকা পানিতে জন্মায়।
তিনি বলেন, ইজিপ্টি মশা ডেঙ্গুর প্রধান বাহক। আমাদের দেশে ৯৫ ভাগ ডেঙ্গু রোগ ছড়ায় ইজিপ্ট প্রজাতির এডিস মশা। ডেঙ্গুর সেকেন্ডারি বা এপিডেমিক বাহক হচ্ছে এডিস এ্যালবোপিকটাস। এ্যালবোপিকটাস মশা বিভিন্ন পাত্র ছাড়াও গাছগাছালি যুক্ত এলাকায় গাছের কোটর, কলাগাছের দুই পাতার মাঝখানে, কচুর পাতার মাঝখানে, কাটা বাঁশের গোড়ায় জমে থাকা পানিতে জন্মায়। বৃষ্টিপাত শুরু হলে এডিস মশার ঘনত্ব আরও বাড়বে তাই এখনই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সেই বছর এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মারা যান ১৪৮ জন। করোনা মাহামারীর মধ্যে ২০২০ সালে ডেঙ্গু তেমন প্রভাব ফেলতে না পারলেও ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে কিছুটা উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি anusandhan24.com'কে জানাতে ই-মেইল করুন- anusondhan24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
anusandhan24.com'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।